নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ভয়াবহ হচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। যাদের ব্যর্থতা ও সমন্বয়হীনতায় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ডেঙ্গু পরিস্থিতি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নিতে হবে তাদের বিরুদ্ধেও। এছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি সহায়তায় বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার (৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে জিএম কাদের বলেন, ৮ জুলাই শনিবার এক দিনে ৮২০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, যা সংখ্যার দিক থেকে এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সরকারি হিসেবে শনিবার ডেঙ্গু আক্রান্ত ২ জন মারা গেলেও এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬৭ জন। সাধারণ মানুষের ধারণা এই সংখ্যা আরও বেশি। সরকারি হিসেবে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ৫০২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছে। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ১১৮ জন। গত বছর ২৮১ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ২০১৯ সালে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হয়েছিলো। সেবছর রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে ছিলো। কিন্তু এ বছর স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাক-বর্ষ জরিপে রাজধানীর ৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৫টিই ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে, যা ভয়াবহ পরিস্থিতির অশংকা সৃষ্টি করেছে।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ সরকারের পক্ষ থেকে মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেই। লোক দেখানো ঔষধ ছেটানো হয়, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। আবার, ঔষধের কার্যকারিতা নিয়েও সাধারণ মানুষের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, ভবিষ্যতে এর পরিণাম আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষের এমনিতেই হিমশিম অবস্থা। তাই বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তিনি।