বিনা মার্জিনে চালের এলসি খোলা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক: এখন থেকে আর বিনা মার্জিনে চালের এলসি (ঋণপত্র) খোলা যাবে না। চাল আমদানির ক্ষেত্রে ঋণের ঝুঁকি বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার নির্ধারণ করে ঋণপত্র খোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আবহাওয়া ধান চাষের অনুকূলে থাকায় চলতি বছর ধানের উৎপাদন সন্তোষজনক হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কৃষক ও স্থানীয় চাল উৎপাদকদের ধান-চালের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করাসহ কৃষকদের ধান চাষে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার খাদ্যশস্যের মজুদ কাক্সিক্ষত পর্যায়ে সংরক্ষণের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের কাজ করছে। তাই এখন থেকে শূন্য বা বিনা মার্জিনে চালের ঋণপত্র স্থাপনের প্রয়োজন নেই।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, প্লেজ (অঙ্গীকার) ও হাইপোথিকেশনের (দায়বন্ধন) বিপরীতে রিভলভিং সিসি/ওডি ঋণের ক্ষেত্রে স্থানীয় মিল মালিকসহ সব ধান-চাল ব্যবসায়ীদের গৃহীত অগ্রিম অথবা ঋণ সর্বোচ্চ ৪৫ দিন অন্তর অন্তর আবশ্যিকভাবে পরিশোধ বা সমন্বয় করতে হবে বলে পুনর্নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগে চালের স্বাভাবিক সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। ফলে বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনে ঋণপত্র স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া প্লেজ (অঙ্গীকার) ও হাইপোথিকেশনের (দায়বন্ধন) বিপরীতে রিভলভিং সিসি/ওডি ঋণের ক্ষেত্রে স্থানীয় মিল মালিকহ সব ধান-চাল ব্যবসায়ীর গৃহীত অগ্রিম অথবা ঋণ ৪৫ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিন অন্তর অন্তর আবশ্যিকভাবে পরিশোধ বা সমন্বয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০