মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়তে দেখা গেছে ১৪ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান হয়েছে সাত হাজার ২৫১ পয়েন্ট। তবে সূচক বাড়লেও হ্রাস পেতে দেখা গেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে গতকাল দর হ্রাস পেয়েছে ২০২টির। পক্ষান্তরে দর বেড়েছে ১৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের এবং অপরিবর্তিত থাকে ৩৩টির।
এদিকে গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তুলনামূলক বেশি দরের পিই-রেশিওধারী কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের নজর। দিন শেষে ২০ থেকে ৪০ পিই-রেশিও রয়েছে এমন কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ দেখা গেছে ৫১ শতাংশের বেশি বিনিয়োগকারীর।
এদিকে গতকালের লেনদেন চিত্রে চোখ রাখলে দেখা যায়, শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের একক অবদান দেখা যায় ১৭ দশমিক তিন শতাংশ। আগের দিনের মতো লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। এটি মোট লেনদেনে ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল বিমা খাত। এ খাতটি মোট লেনদেনে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়। একইভাবে লেনদেনে প্রকৌশল খাত ১০ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে এক হাজার ৯৮০ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল প্রায় ৫২ কোটি টাকা। এ মার্কেটে মোট ৩৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়।
জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৬৪ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৭টি শেয়ার ৭৮ বার হাতবদলের মাধ্যমে ৫১ কোটি ৯৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০ কোটি ৭৭ লাখ ৪৭ টাকার লেনদেন হয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ারের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি ১৫ লাখ ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ সাত কোটি ৭০ লাখ ১৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্যারমাউন্ট টেক্সটাইলের।