নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন বিমা খাতের দাপট থাকার পর এখন এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর নিম্নমুখী রয়েছে। কারণ বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছুটা বাড়তি ছিল এসব শেয়ারদর। বিমার পর এখন পুঁজিবাজারে একচেটিয়া আধিপত্য দেখাচ্ছে বস্ত্র খাত।
সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিদিনই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে থাকতে দেখা যায় বস্ত্র খাতের কোম্পানির শেয়ার। গতকালের বাজারেও এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।
গতকাল লেনদেনে শুরু থেকে বস্ত্র খাতের একক আধিপত্য দেখা যায়। এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা ছিল বেশি। এ কারণে এসব শেয়ারদর বাড়তে থাকে। এর জের ধরে দিন শেষে এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়।
এদিকে দিন শেষে মোট লেনদেনেও বস্ত্র খাতের একক আধিপত্য দেখা যায়। গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনের ১৭ শতাংশের বেশি ছিল বস্ত্র খাতের অবদান। লেনদেনে এর পরের অবস্থান ছিল আর্থিক খাত। মোট লেনদেনে খাতটির একক অংশগ্রহণ ছিল ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিবিধ খাতের অবদান দেখা যায় ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনে ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল খাত সন্তোষজনক অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
এদিকে গতকাল দিন শেষে ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে সূচকের অবস্থান হয় ছয় হাজার ৭৪৮ পয়েন্টে। একইভাবে বাড়ে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে মোট দুই হাজার ৯৫৩ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ১৭৬ কোটি টাকার বেশি। এ মার্কেটে মোট ৬০টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
কোম্পানিগুলোর পাঁচ কোটি ৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯২২টি শেয়ার ১২৯ বার হাতবদলের মাধ্যমে ১৭৬ কোটি ৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৮০ হাজার টাকা জেনেক্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের।
