হাসানুজ্জামান পিয়াস: পুঁজিবাজারে গতকাল শেয়ার কেনার প্রবণতা বেড়েছে। লেনদেনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার ঝোঁক লক্ষ্য করা যায়। এ কারণে লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। গতকাল বিনিয়োগকারীরা প্রায় সব খাতেই কম বেশি শেয়ার কিনেছেন। বৃহৎ খাতগুলোতে কেনার প্রবণতা থাকার পাশাপাশি লেনদেনে বস্ত্র খাত কিছুটা এগিয়ে ছিল। বাজার-বিশ্লেষকরা বলছেন, ডলার কেনাবেচার ক্ষেত্রে ব্যবধান এক টাকা নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগ ও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার পাশাপাশি সম্প্রতি রাশিয়া থেকে দেশে তেল কেনার বিষয়টি আলোচনার আসার কারণে গতকালও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পাশাপাশি বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করার ঘোষণাও ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এসব কারণে শেয়ার বিক্রির পাশাপাশি কেনার প্রবণতাও বেড়েছে।
সূচক ও বেশিরভাগ শেয়ারদর বৃদ্ধির সঙ্গে মোট লেনদেন বেড়েছে। এছাড়া গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪০ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৩০০ দশমিক ১৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে লেনদেন হয় এক হাজার ৪৭৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
এদিন ৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার ১৫৮টি শেয়ার ২ লাখ ৪২ হাজার ৯২০ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৮০ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৪টির, কমেছে ১১৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৯৯টির দর।
গতকাল সূচকের উত্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে বিকন ফার্মা, বেক্সিমকো, জিপিএইচ ইস্পাত, তিতাস গ্যাস, ওরিয়ন ফার্মা, বার্জার পেইন্ট, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো ফার্মা এবং ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ১০ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেডের দর ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ফার ইস্ট নিটিংয়ের ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
গতকাল ডিএসইতে খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বস্ত্র খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশ খাতটির দখলে রয়েছে। লেনদেনের ১৪ শতাংশ দখলে নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতের দখলে রয়েছে মোট লেনদেনের ১২ শতাংশ। এছাড়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে মোট লেনদেনের ১১ শতাংশ ছিল প্রকৌশল খাতের, আট শতাংশ ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এবং পাঁচ শতাংশ ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দখলে।