নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত চূড়ান্ত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাটা শু কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বশেষ ১০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন ২৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ৩৬৫ শতাংশ নগদ দিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ টাকা ৯৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ১৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১০৭ টাকা ৮৪ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট এক কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৯৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫ টাকা ১ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস বেড়েছে ৪ টাকা ৯৫ পয়সা। এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬২ টাকা ১২ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ২৫২ টাকা ১৬ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১০ টাকা ২৩ পয়সা ছিল।
