সিলেট প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিলেট অফিস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এ খবরে ক্ষুব্ধ সিলেটের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। ওই অফিস বন্ধ হয়ে গেলে সিকিউরিটিজ হাউসগুলোয় অনিয়ম-দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সিলেট অফিস বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
বর্তমানে সিলেটে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের নিবন্ধিত ৩৩টি সিকিউরিটিজ হাউস রয়েছে, যে হাউসগুলোয় হাজার হাজার বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে লেনদেন করে আসছেন। সম্প্রতি সিলেট অফিস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে সিকিউরিটিজ হাউসগুলোকে জানানো হয়। এমন খবর শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন বিনিয়োগকারীরা। অফিস বন্ধ না করতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে একাধিকবার লিখিত আবেদনও করেছেন তারা।
বিনিয়োগকারীরা আবেদনে উল্লেখ করেন, সিলেটে জালালাবাদ, মেট্রোসিটি ও ফাস্টলিড সিকিউরিটিজের প্রতারণার শিকার হয়ে শত শত বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা সিলেট অফিসের দ্বারস্থ হয়ে অনেকে তাদের পাওনা আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে অনেক বিনিয়োগকারী এখনও তাদের পাওনা বুঝে পাননি। সিলেট অফিস বন্ধ হয়ে গেলে প্রতারণার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ঢাকা অথবা চট্টগ্রামে যেতে হবে, যা কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। এমনকি প্রতারিত হলেও অনেকে দূরে গিয়ে অভিযোগ করতে চাইবেন না। অনলাইনে সুযোগ থাকলেও অনেকে এ বিষয়টি বোঝেন না। এতে সিকিউরিটিজ হাউসগুলোয় দুর্নীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, যা পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। আবেদনকারীরা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সিলেট অফিস বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার দাবি জানান।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিলেট অফিস চালু করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিলেটের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সিকিউরিটিজ হাউসগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিকারসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা পেয়ে আসছেন।