বিনিয়োগকারীরা দুই খাতে বিমুখ

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের পুঁজিবাজারে সব সূচক নামমাত্র বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। এতে লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। দর বৃদ্ধির তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে রয়েছে সেবা ও আবাসন এবং আইটি খাতের শেয়ার। অপরদিকে উত্থানেও বিনিয়োগকারীদের বিমুখ এবং শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল দুই খাতের শেয়ারে। ফলে খাত দুটিতে শুধু শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে বিমা খাতের শেয়ারদর।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল কাগজ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে এবং ২টির দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ খাতে দর বেড়েছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ। এ খাতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১টির দর বেড়েছে, ১টির কমেছে এবং ২টির দর অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল সেবা খাত। খাতটিতে লেনদেন হওয়া ৪টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা আইটি খাতে শেয়ার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, ব্যাংক, বিবিধ, সিমেন্ট এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় বিমা খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ২ দশমিক ১০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ভ্রমণ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে ৪৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে আগের দিন থেকে ১২৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৬০৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২২০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১৮ পয়েন্টে। ডিএসইতে ৩১৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৮টির।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০