মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: এক দিনের বিরতি দিয়ে গতকাল আবার ছন্দে ফেরে পুঁজিবাজার। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে সূচকও। তবে এদিন দর বৃদ্ধির দৌড়ে এগিয়ে ছিল কম মূল্যের শেয়ার। গতকাল যেসব শেয়ারের লেনদেন বেশি হয়েছিল, সেগুলোর বেশিরভাগেরই দর ছিল ২০ টাকার নিচে। যে কারণে দিন শেষে দর বৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নেয় এমন দামের শেয়ারের কোম্পানিগুলো।
গতকালের লেনদেন শেষে দেখা যায়, শেয়ারদর বৃদ্ধির দৌড়ে এগিয়ে ছিল তাল্লু স্পিনিং, অ্যাপোলো ইস্পাত, ফু-ওয়াং সিরামিক, ম্যাকসন্স স্পিনিং, সেন্ট্রাল ফার্মা, ফ্যামিলি টেক্সসহ আরও কিছু কোম্পানি। এসব কোম্পানির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে দেখা যায়। গতকাল ৫৫ শতাংশ বিনিয়োগকাীর আগ্রহ ছিল এসব শেয়ারে। মূলত এসব শেয়ারদর আরও বাড়ার সম্ভাবনা থেকেই এ ধরনের শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন শেয়ার ক্রেতারা।
এদিকে খাতভিত্তিক লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বিমা খাত। গতকাল এ খাতে মিশ্র প্রবণতা দেখা যায়। দিন শেষে মোট লেনদেন এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের অবদান ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডের মোট লেনদেনে একক অবদান দেখা যায় সাড়ে ১০ শতাংশ। একইভাবে প্রকৌশল খাত মোট লেনদেনে অবদান রাখতে সক্ষম হয় ১০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকাল দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে পাঁচ হাজার ৬৯ পয়েন্টে। সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়তে দেখা যায় লেনদেন। গতকাল ডিএসইতে মোট ৮২৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৩ কোটি টাকা ছিল ব্লক মার্কেটের লেনদেন। এ মার্কেটে গতকাল ২৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশগ্রহণ করে।
জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ২৩৭টি শেয়ার ৪২ বার হাতবদল হয়। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ তিন কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার ড্যাফোডেল কম্পিউটার্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ এক কোটি ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনাটার।