নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই-সিএসই) বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের ট্রাস্টি বোর্ডের পুনর্গঠন করা হয়েছে। এক বছর পরপর এ বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়। এরই ধারবাহিকতায় ডিএসই ও সিএসইর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের ট্রাস্টি বোর্ডে নতুন দুই চেয়ারম্যান নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি এ বিষয়ে জানিয়ে ডিএসই ও সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর দুটি চিঠি আলাদাভাবে পাঠানো হয়েছে।
ডিএসইকে দেয়া বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন স্টক এক্সচেঞ্জ (বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিল) প্রবিধান, ২০১৪-এর প্রবিধান ৫ অনুযায়ী ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিলের চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. আবদুস সামাদকে মনোনয়নের অনুমোদন দিয়েছে।
সিএসইকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এবিএম আবু নোমানকে সিএসইর বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা তহবিল ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে। এ বিষয়ে তাকে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
তথ্যমতে, বার্ষিক তালিকাভুক্ত ফি বা মার্চেন্ট, ব্রোকার ও ডিলারদের কাছ থেকে পাওয়া বার্ষিক ফি’র একটি অংশ এ তহবিলে জমা করা হয়। এছাড়া পুঁজিবাজারের লেনদেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া ফি’র একটি অংশ এ তহবিলে জমা করা হয়। জানা গেছে, কোনো ব্রোকারেজ হাউস দেউলিয়া হয়ে গেলে বা বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কিংবা তাদের জমা রাখা অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে, এ তহবিল থেকে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা দেয়া হবে।
এর আগে ডিএসই বন্ধ বা দেউলিয়া হয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি সিকিউরিটিজ হাউসের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের এ তহবিল থেকে ক্ষতি হওয়া টাকার কিছু অংশ দিতে নির্দেশ দেয় বলে জানা গেছে।