নিজস্ব প্রতিবেদক: কৌশলগত বিনিয়োগকারী ও ব্যাংকের আমানতের বিপরীতে ঋণ অনুপাত পুঁজিবাজারে অহেতুক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান।
গতকাল ডিএসই কার্যালয়ে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএসইর এমডি বলেন, কাল (মঙ্গলবার) থেকে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আছে। যদিও বিনিয়োগের এখনই অপূর্ব সময়।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি কারণে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতি ও ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী কেন্দ্র করে। বর্তমানে এগুলো নিয়ে কোনো আতঙ্ক নেই। তাই বাজার ইতিবাচক হওয়াটা স্বাভাবিক।
মাজেদুর রহমান বলেন, পাশের দেশের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে আছে আমাদের পুঁজিবাজার। এডিআর নিয়ে সরকার অনেক সচেতন; যাতে এডিআর বেড়ে না যায়, ওই বিষয়টি কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার দিয়েছিল। সবকিছু বিবেচনা করে এটির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়ে। এটি পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক।
কৌশলগত বিনিয়োগকারীর বিষয়ে তিনি বলেন, ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের নেওয়া সিদ্ধান্ত বিএসইসিতে জমা দেওয়া হয়েছে। এর আইনগত বিষয়টি যাচাই-বাছাই করার জন্য বিএসইসি একটি কমিটি করেছে। কমিটির প্রতিবেদনের পর কমিশন একটি সিদ্ধান্ত নেবে। ডিএসইর দেওয়া প্রস্তাবটিই কমিশন দেখছে বলে জানান তিনি।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজারে বাড়তি বিনিয়োগের বিষয়ে মাজেদুর রহমান বলেন, সব পক্ষের লোক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে জমা দেবে। একইসঙ্গে এখানে আমরা ছাড়ের কথা বলব না, তবে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আশার জন্য বলব। এছাড়া এটি যেন হয় একটি স্থায়ী সমাধান।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ, সাবেক সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, ডিবিএ পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও ও সাজিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের আগে ডিএসইর শীর্ষ ব্রোকারের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসির) সঙ্গে বৈঠক করেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
