বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে চাইনিজ ইস্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কিছুটা কমলেও বেড়েছে লেনদেন। তবে সূচক কিছুটা কমলেও বিনিয়োগকারীদের এটি নিয়ে তেমন মাথা ছিল না। বরং চীনা কনসোর্টিয়াম কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ায় বাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে আলোচনা ছিল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
এদিকে সূচক কিছুটা কমলেও তুংহাই নিটিং, কুইনসাউথ টেক্সটাইল, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজসহ যেসব কোম্পানিতে চীনসহ অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে বেড়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের চাহিদা। যে কারণে বেড়েছে এসব শেয়ারদর। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা, এসব কোম্পানির শেয়ারদর ধীরে ধীরে আরও বৃদ্ধি পাবে।
বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, চীন আমাদের দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গে থাকা মানে বাজারের ভবিষ্যৎ ভালো। কারণ তারা আমাদের দেশের বাজারে বিনিয়োগ করবে। বড় বড় বিনিয়োগকারী যখন এই বাজারে আসবে, তখন এমনিতেই বদলে যাবে বাজারের পরিবেশ। একই সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তি সুবিধা পাবে দেশের বাজার; যা আমাদের বাজারের স্বচ্ছতা সৃষ্টি করতে সহায়ক হবে। তারা বলেন, চীন নাকি ভারতÑকারা কৌশলগত বিনিয়োগকারী হবে, তা নিয়ে আমরা এতদিন দোলাচলে ছিলাম। এখন বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় ভেবেচিন্তে বিনিয়োগ করতে পারব।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সূচকের সামান্য পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসইতে আগেরদিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে। অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) একই চিত্রে লেনদেন শেষ হয়েছে।
রোববার ডিএসইতে ৫৩১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৫৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেশি। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪৭৪ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৩৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৫টির, কমেছে ১২৫টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারদর।

ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক চার পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৬৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক এক পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৩১৯ পয়েন্টে। ডিএস ৩০ সূচক আট পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে দুই হাজার ১১৯ পয়েন্টে।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড, বিবিএস কেবল্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ইউনাইটেড পাওয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক, মুন্নু সিরামিকস, জেএমআই সিরিঞ্জ, ড্রাগন সোয়েটার আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ও নাহি অ্যালুমিনিয়াম। দরবৃদ্ধির শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, রিজেন টেক্সটাইল, সিনো বাংলা, এসইএমএল লেকচার ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ড, বিবিএস কেবল্স, এইচআর টেক্সটাইল কুইন সাউথ টেক্সটাইল, প্যাসিফিক ডেনিমস ও ফাইন ফুডস।
অন্যদিকে দর কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, মিথুন নিটিং, উত্তরা ব্যাংক, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, দুলামিয়া কটন, লিব্রা ইনফিউশন, মেঘনা পিইটি, তাল্লু স্পিনিং, রূপালী ব্যাংক ও বিআইএফসি।

অন্যদিকে চট্টগ্রামে স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২২ কোটি ৫৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৫৭৫ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৩৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ারদর।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১