নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা কনফারেন্স ২০১৯। এছাড়া ৩০ মার্চ শনিবার চট্টগ্রামে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। কাল ঢাকার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট কোনো অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছেন তিনি।
প্রতিটি মানুষকে বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা এবং সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা ও এর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করতে ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত দুই বছরে মোট ৪০৮টি কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩০ হাজার জনশক্তিকে প্রশিক্ষিত করেছে বিএসইসি। এছাড়া আরও প্রায় কয়েক লক্ষ সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকবলকে বিনিয়োগের ধারণা দিতে পেরেছে সংস্থাটি।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, অধিকাংশ বিনিয়োগকারী নিজেদের আর্থিক অবস্থা, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ না করে অন্যদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে বা লোকমুখে প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের গুজবের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করে থাকে। সচেতন বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য বিনিয়োগকারীকে আর্থিক শিক্ষা প্রদান অপরিহার্য। অধিকাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী যথাযথ বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত নয়। এর ফলে বাজারে অসামঞ্জস্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত বিনিয়োগকারীরা সংস্কার এবং আবেগের ভিত্তিতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শুধু যে নিজেদের ভবিষ্যত বিপন্ন করে তা নয়। তাদের কার্যক্রমে পুঁজিবাজার তথা দেশের অর্থনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।
দেশের জনগণকে বিনিয়োগে সচেতন করতে খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও রংপুরে এ পর্যন্ত মোট ৪০৮টি কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে বিএসইসি। যেখানে মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৫২৭ জন। এই কর্মসূচির আওতায় পুঁজিবাজারে বিদ্যমান বিনিয়োগকারী, পুজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ, প্রশিক্ষক, বিচারক, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আইনজীবী সাংবাদিক ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।