বিনিয়োগবান্ধব হলেও ব্যাংক খাতে লেনদেনের হার কমছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতের প্রাইস আর্নিং রেশিও (পিই রেশিও) সবচেয়ে কম। পিই রেশিও অনুযায়ী ব্যাংক খাতের শেয়ারে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু আগের চেয়ে চলতি সপ্তাহে মোট লেনদেনে ব্যাংক খাতের অংশগ্রহণ কমেছে। তথ্য পর্যালোচনা প্রতিবেদন এমনটিই জানা গেছে। ব্যাংক খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমতে থাকার কারণে এ খাতের লেনদেনের হার দিন দিন কমছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যমতে, বাজারে যেসব খাতের কোম্পানির তালিকাভুক্ত রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও সর্বনি¤œ অবস্থানে। খাতটির পিই রেশিও ৮ দশমিক এক পয়েন্টে অবস্থান করছে। চলতি সপ্তাহে বাজারে ব্যাংক খাতের অংশগ্রহণ মোট লেনদেনের মাত্র ১২ শতাংশ। এ সময় খাতটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা। গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মোট লেনদেনের মধ্যে ব্যাংক খাতের ছিল ১৮ শতাংশ, ওই সময় এ খাতে দৈনিক লেনদেন হয়েছিল ১২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতের লেনদেন কমেছে ৬ শতাংশ।

বাজারে মোট লেনদেনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে জ্বালানি খাতের কোম্পানির। মোট লেনদেনের ১৯ শতাংশ ছিল জ্বালানি খাতে। চলতি সপ্তাহে এ খাতের দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তারপরই রয়েছে বস্ত্র খাতের অবস্থান। চলতি সপ্তাহে মোট লেনদেনের মধ্যে ১৮ শতাংশই ছিল বস্ত্র খাতের। এ খাতের দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি টাকার বেশি। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশ ছিল আলোচিত এ দুই খাতের। বিশ্লেষকদের মতে, পিই রেশিও যতদিন পর্যন্ত ১৫-এর নিচে থাকে ততোদিন বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থা বিরাজ করে। তারা বলছেন, পিই রেশিও অনুযায়ী ব্যাংক খাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করলেও এ খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই। তবে লভ্যাংশ ঘোষণার আগে এ খাতের কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশ ভালোই ছিল।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। আর এ বাজারে বিনিয়োগকারীরা স্বল্প সময়ে মুনাফা অর্জন করতে চাইছেন। এ কারণে তারা কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণার আগে সেই কোম্পানিগুলোয় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেন।

তারা বলছেন, ব্যাংক, বিমা ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া বস্ত্র খাতসহ অন্যান্য খাতের কোম্পানিগুলোর হিসাববছর শেষ হবে জুন মাসে। হিসাব বছর শেষ হওয়ার পরই এসব খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা বস্ত্র খাতসহ ডিভিডেন্ডকেন্দ্রিক কোম্পানিগুলোয় বিনিয়োগে আগ্রহ হয়ে উঠেছেন। ফলে সেসব খাতের লেনদেনের হার বাড়ছে।

এ সম্পর্কে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, ব্যাংকের আমানতের সুদের হার কমছে। সে হিসেবে বর্তমান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেও ভালো গেইন করা সম্ভব। তবে অল্প সময়ে মুনাফা পেতে বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ডের  পেছনে ছুটছে। ব্যাংকের ডিভিডেন্ড ঘোষণা শেষ, তাই তারা এ খাতের শেয়ারের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে। সামনে যেসব কোম্পানির লভ্যাংশ দেওয়ার সময় এসেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০