ক্রীড়া প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে মাঠ ও মাঠের বাইরে হরহামেশাই হচ্ছে জুয়া। কিন্তু এটা বন্ধে খুব বেশি কিছু করার নেই বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের। তবে স্টেডিয়ামে কেউ এ অপরাধে জড়িয়ে পড়লে, সেটি বন্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই নেবে বিসিবি। এরই মধ্যে জুয়াড়ি সন্দেহে ৭৭ জনকে আটক করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। যেখানে ১২ বিদেশির মধ্যে ১০ জনই রয়েছে ভারতীয়।
জুয়াড়িদের আটক করা নিয়ে গতকাল মিরপুরে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘স্টেডিয়ামে আমাদের দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা বিভাগের লোকজন কাজ করে। স্টেডিয়ামের ভেতরে ও চত্বরে কিছু হলে তারা ব্যবস্থা নেয়। এর মধ্যেই প্রায় ৬৫ জন বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা মোবাইলে বেট করছিল। তাদের চিহ্নিত করে তদন্ত করা হয়েছে। বিদেশি ছিল আরও ১২ জন, তাদের মধ্যে ১০ জনই ভারতীয়। যেহেতু আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই, তাই খুব বেশি কিছু করতে পারি না।’
জুয়াড়িদের ধরলেই এটি বন্ধ হওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না ইসমাইল হায়দার মল্লিক। গতকাল এ ব্যাপারে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে সচেতনতা তৈরি ছাড়া বিসিবির কিছু করার নেই। কিছু কিছু বেটিং সাইটে বেট হয়, গ্রামেগঞ্জে হয়। সেসব নিয়ে কিছু করার নেই। আমরা স্কোরবোর্ডে, এলইডি বোর্ডসহ নানা জায়গায় প্রচার চালাচ্ছি বেটিং থেকে দূরে থাকতে। এটা পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপার।’
স্টেডিয়ামে বাজি ধরতে ব্যবহার করা হচ্ছে মোবাইল। দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে এ কাজটি থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক।