নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস কেব্লস লিমিটেড বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) প্রকল্পে আট কোটি পাঁচ লাখ ৫০ হাজার ৫৬৯ টাকার পণ্য সরবরাহের কাজ পাচ্ছে। সম্প্রতি কোম্পানিটি বিপিডিবির কাছ থেকে দুটি ‘নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড’ (এনওএ) পেয়েছে। এ-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পর সাত মাসের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করতে হবে বিবিএস কেব্লসকে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন প্রকল্প এলাকায় ৬০৩ দশমিক ৩১ কিলোমিটার তার এবং এএসি অ্যান্ট (ইনসুলেটেড) কন্ডাক্টর সরবরাহ করবে বিবিএস কেব্লস। তারের জন্য ব্যয় হবে তিন কোটি ৬৭ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৬ টাকা ও কন্ডাক্টরের জন্য চার কোটি ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৩ টাকা। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর কাজ শুরু করার অনুমতিপত্র দেওয়া হবে।
গতকাল ডিএসইতে বিবিএস কেব্লসের শেয়ারদর কমেছে দুই টাকা বা দুই দশমিক ১৩ শতাংশ। এ দিন সর্বশেষ লেনদেন হয় ৯১ টাকা ৮০ পয়সায়। কোম্পানিটির চার লাখ ৬৬ হাজার ২৪৬টি শেয়ার এক হাজার ২৯৯ বার হাতবদল হয়। যার মোট মূল্য চার কোটি ৩১ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের পাঁচ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ১২ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৯ টাকা ১৭ পয়সায়। সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে এ শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ২২ দশমিক ৩৮, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে যা ১৩ দশমিক শূন্য ছয়।
৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত ও ১৩৮ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের এ কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে আছে ৯২ কোটি টাকা। সর্বশেষ প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ১৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮৩ পয়সা। (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রান্তিক শেষে ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৫৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৪৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১৯ টাকা ৭৬ পয়সা, যা ৩০ জুন ২০১৭ শেষে ছিল ১৯ টাকা ১৭ পয়সা।
৩১ জানুয়ারি ২০১৮ শেষে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বিদেশি ও ৫১ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।