শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অস্ত্র কেনায় সৌদি আরবের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি বলেন, অস্ত্র ক্রয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের শত শত কোটি ডলার উপার্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে মধ্যপ্রাচ্যের ওই দেশ। খবর ভয়েজ অব আমেরিকা।
গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠককালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ওইদিনই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাসহ বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। বৈঠকে সমরাস্ত্র ও সরঞ্জাম বিনিময়ের বিষয়েও আলোচনা হয়।
সৌদি আরবের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শক্তিক্ষয়ের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা আইএস দখলকৃত এলাকার প্রায় শতভাগ পুনর্দখল করে ফেলেছি। আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছি, আর তা সত্যি শেষ হতে চলেছে। আমরা এখন কিছু বিশেষ এলাকা থেকে চলে আসতে পারব। অনেক দিন ধরেই আমরা সেখান থেকে চলে আসতে চাচ্ছি।’ সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘এ কারণেই আমরা এখানে বসেছি। আমরা সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে এটা করার পাশাপাশি আমাদের উভয় দেশের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক হুমকি থেকে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হতেই এখানে কথা বলছি।’
ট্রাম্প ও যুবরাজের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ও এর অর্থায়ন বিষয়ে কথা হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদকে কোনোভাবেই অনুমোদন করা হবে না। সন্ত্রাসবাদের কারণে যেকোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’ ট্রাম্প সন্ত্রাসীদের অর্থ জোগান বন্ধে সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তবে অনেক পর্যবেক্ষক ইসলামের মধ্যে সালাফি আন্দোলনকে সহায়তার জন্য সৌদি আরবের সমালোচনা করে থাকেন।