বিপ্লব উদ্যানকে নান্দনিক করার উদ্যোগ চসিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানকে নান্দনিক করার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এ কাজ করবে রিফর্ম লিমিটেড এবং স্টাইল লিডিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড। উন্নয়ন প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে সোল স্কোয়ার বা প্রাণের স্পন্দন। সম্পূর্ণ বেসরকারি অর্থায়নে এ উম্মুক্ত পার্কটি নির্মিত হবে।
নগরবাসীর বিনোদনের জন্য বিপ্লব উদ্যান প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ পার্কে বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা নেই বললেই চলে। তাই চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ উদ্যানকে উম্মুক্ত চত্বরে পরিণত করতে উদ্যোগ নেন। গ্রিন ও ক্লিন সিটি কর্মসূচির অংশ হিসেবে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তুলতে রিফর্ম লিমিটেডের এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি মোহাম্মদ মাসুম এবং স্টাইল লিডিং আর্কিটেক্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান স্থপতি মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব প্রদান করেন সিটি মেয়র। তারই আলোকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সই হয়।
চসিকের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রিফর্ম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি মোহাম্মদ মাসুম এবং স্টাইল লিডিং আর্কিটেক্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান স্থপতি মিজানুর রহমান স্বাক্ষর করেন। এ সময় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চসিক কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল, সাহেদ ইকবাল বাবু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগমসহ বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
উম্মুক্ত পার্কে প্রশস্ত ও দীর্ঘ ওয়াকওয়ে, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মানসিক প্রশান্তির লক্ষ্যে উম্মুক্ত প্লাজা এবং নির্মল বাতাসের জন্য উদ্যান ও জলাধার তৈরিই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্যে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান উদ্যানের চারপাশের প্রাচীর অপসারণ করে বিপ্লব উদ্যানকে উম্মুক্ত প্লাজায় পরিণত করবে। এতে নগরবাসীর মানসিক প্রশান্তির জায়গা হয়ে উঠবে এবং পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকিট লাগবে না। পার্কে বেড়াতে পারবেন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ।
জলাধারের মাঝে থাকবে দৃষ্টিনন্দন বর্ণিল ফোয়ারা। ক্লান্তি দূর করতে থাকবে বসার বেঞ্চ ও গ্যালারি। মাঠজুড়ে থাকবে এলইডি লাইট, গার্ডেন লাইট, আন্ডার ওয়াটার লাইট। ফলে সন্ধ্যার পর আলো ঝলমলে হয়ে উঠবে উম্মুক্ত পার্কটি। এছাড়া শিশুদের খেলাধুলার জন্য থাকছে বিভিন্ন ধরনের রাইড সরঞ্জাম। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য গণশৌচাগার সার্বক্ষণিকভাবে উম্মুক্ত থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য থাকছে প্রাইভেট ম্যানটেইনেন্স সুবিধা। অত্যাধুনিক বাস স্টপেজের পাশাপাশি থাকছে ফ্রি ওয়াই-ফাই, ইনফরমেশন ক্যাশ মেশিন, কিডস কর্নার, ফুড কোর্ট, এটিএম প্লাজা, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন, মেনেজমেন্ট রুম ইত্যাদি। আরও থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য খাদ্য ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয়ের ব্যবস্থা।