মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: ঘুরে-ফিরে বিমা খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন বিনিয়োগকারীরা। প্রায় দেড় বছর ধরে বিনিয়োগকারীদের আস্থার শীর্ষে রয়েছে এ খাত। দেশে কভিড-১৯ শনাক্তের আগেও এ খাতের শেয়ারে নজর দেখা যায় তাদের। পরবর্তীকালে অন্যান্য খাতের শেয়ারদর নিম্নমুখী হতে শুরু করলেও বিমা খাতের উল্টো অবস্থা ছিল। বরাবরই বিনিয়োগকারীদের আস্থার শীর্ষে ছিল এ খাত। বর্তমানেও সেই পরিস্থিতি বিরাজমান।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এদিনও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে ছিল বিমা খাতের কোম্পানি। এর জের ধরে গতকাল সকাল থেকে এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে থাকে। পক্ষান্তরে ভবিষ্যতে দর আরও বাড়তে পারে এমন ভেবে বেশি দরে শেয়ার কিনতে দেখা যায় বিনিয়োগকারীদের। দিন শেষে এ খাতের ৭০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়।
বিমা বাদে অন্যান্য খাতের অবস্থা ছিল খুবই নাজুক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যÑপ্রকৌশল, আর্থিক, বস্ত্র এবং ব্যাংক খাত। এসব খাতের সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা যায়।
এদিকে গত এক বছরের বাজারচিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এ সময় বিমা খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। তাই এ খাতে ঢালাও বিনিয়োগে কিছুটা হিসাবি হওয়া দরকার।
অন্যদিকে গতকাল সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শেষ হয়।দিন শেষে ৩১ পয়েন্ট কমে সূচকের অবস্থান হয় সাত হাজার ৩১৩ পয়েন্ট। অন্যদিকে গতকাল ডিএসইতে এক হাজার ৮৬৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল ২২ কোটি টাকার বেশি। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৩৩টি কোম্পানি অংশ নেয়। জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৩৬ লাখ ৫০ হাজার ৬২০টি শেয়ার ৫৮ বার হাত বদলের মাধ্যমে ২২ কোটি ৭০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ আট কোটি ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার পাওয়ার গ্রিডের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ এক কোটি ৬১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে যমুনা অয়েলের।