নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে গতকাল রোববার বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ভর করে সূচকের উত্থান ঘটেছে। এদিন তালিকাভুক্ত ৫৮টি বিমা কোম্পানির মধ্যে ৪৭টি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এর মধ্যে ৮টি বিমা কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে পাঁচ শতাংশের বেশি। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বিমা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে এমন দাপটের ফলে সার্বিক পুঁজিবাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে টানা তিন কার্যদিবসের পতনের পর গতকাল সূচকের উত্থান হয়েছে। সবকটি মূল্যসূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের গতি।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গতকাল লেনদেনের শুরুতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে লেনদেনের ৩০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এরপর এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ান। এতে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর তিন সূচকের মধ্যে দুটি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। আর প্রধান মূল্যসূচক মাত্র ২ পয়েন্ট পজেটিভ থাকে। এ পরিস্থিতিতে দাম বাড়তে থাকে বিমা কোম্পানির শেয়ারের। লেনদেনের সঙ্গে সঙ্গে বিমার শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে; যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতের ওপর।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৯টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১২টির দাম একদিনে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই বেড়েছে। এর মধ্যে বিমা কোম্পানি রয়েছে ৪টি।
দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বিমা কোম্পানির এমন দাপটের ফলে ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৮৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৭৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৭ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেস্ট হোল্ডিংয়ের ৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৮ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাভানা ফার্মা। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑগোল্ডেন সন, ফারইস্ট নিটিং, ই-জেনারেশন, মালেক স্পিনিং, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, লাভেলো আইসক্রিম এবং কোহিনূর কেমিক্যালস।
অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৯৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০১টির এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
