নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমা খাতের দাপটে উত্থান হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। বিমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে উত্থানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারে লেনদেন। যদিও টাকার অঙ্কে লেনদেন এখনও ৪০০ কোটির ঘরেই পড়ে রয়েছে। তবে টানা উত্থানের ফলে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় হওয়ার সংকেত দিচ্ছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের ৯৫ দশমিক ২৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এদিন খাতে মোট ৪২টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪০টির দর বেড়েছে। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কোম্পানির শেয়ারদর। দ্বিতীয় স্থানে ছিল পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতের শেয়ার। খাতটির ৮৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এরপর ৭২ দশমিক ৭৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে বিবিধ খাতের। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, সিরামিক, মিউচুয়াল ফান্ড, করপোরেট বন্ড ও আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় আইটি খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটির ৪০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। শেয়ারদর কমায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল জীবন বিমা খাত। খাতটির ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত।
অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৮২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। নয় দশমিক ৭ শতাংশ লেনদেন হওয়া বিবিধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
ডিএসইর তথ্যমতে, গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪১ পয়েন্টে।
গতকাল ১১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৫টি কোম্পানির শেয়ারের। সূচক বাড়লেও লেনদেন কিছুটা কমেছে। এদিন ৮ কোটি ৫১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫টি শেয়ার, বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ৪১৮ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৩০ কোটি ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রয়েল টিউলিপ সি পার্লের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে রয়েছেÑ দেশবন্ধু, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সোনালী আঁশ, জেমিনি সি ফুড, এমারাল্ড অয়েল এবং লাফার্জহোলসিমের শেয়ার।
অন্যদিকে, সিএসইর প্রধান সূচক ২৮ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৪৫ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির।
দিন শেষে সিএসইতে ৫ কোটি ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৮৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮ কোটি ৮ লাখ ৬৫ হাজার ১১০ টাকার।