বিমা খাতের দাপটে সূচকের সামান্য উত্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতা থাকলেও দিনশেষে সূচকের সামান্য উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। আর এই সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতা কাটিয়ে বাজারে কিছুটা হলেও উত্থান দেখিয়েছে বড় দুই খাত। খাত দুটি হচ্ছে ব্যাংক ও বিমা। এই দুই খাতের দাপটে গতকাল সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতা কাটাতে সক্ষম হয়েছে।

টানা তৃতীয় দিন সূচক বাড়ায় পুঁজিবাজারে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এমনিতে সংশোধনে থাকা পুঁজিবাজার ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক বিপর্যয়, ডলারের দাম বৃদ্ধি আর নানা গুজবে পতনমুখী ছিল বাজার। টানা তিন দিনের উত্থান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের কিছুটা উজ্জীবিত করেছে। একক খাত হিসেবে টানা দ্বিতীয় দিন সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে ব্যাংক খাত।

গতকাল শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বিমা খাতের। গত সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বাজার সংশোধন ও পরে ইউক্রেনে রুশ হামলার দিন ২৪ ফেব্রæয়ারি থেকে শুরু হওয়া ধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমার শেয়ারধারীরা। এই কয়েক মাসে এ খাতের বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে ৫০ শতাংশের বেশি। এ খাতটি নিয়ে হতাশার মধ্যে হঠাৎ বাড়ে প্রায় সব শেয়ারের দর। বিমার মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সাধারণ বিমার দর।

এই খাতের ৫৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৪৭টির। আর শেয়ারদর কমেছে ৫টির। অন্যদিকে ব্যাংক খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১৫টির। আর শেয়ারদর কমেছে ১১টি কোম্পানির। শেয়ারদর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টি কোম্পানির।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৯২ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২ দশমিক ০৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪০৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। তবে অন্য সূচক ডিএসই-৩০ সূচক শূন্য দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩৫০ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬৩৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকার কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৮৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার।

ডিএসইতে ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৭টির বা ৩৬ দশমিক ৪৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৯৬টির বা ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশের এবং ৪৩টির বা ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ওদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৩৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৭ দশমিক ৫০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৮৬টির, কমেছে ১৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির দর। সিএসইতে ১৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০