নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিমা খাতের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন। গতকাল মঙ্গলবার বিমা খাতে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এর মধ্যেমে বাজারে মন্দা কেটেছে খাতটির। এদিন ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ২১ লাখ টাকা, যা বাজারে সর্বোচ্চ। এই খাতের আটটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বাড়ার বিপরীতে কমেছে তিনটির। অপরিবর্তিত ছিল ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ৭৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এই খাতে শেয়ারদর বেড়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানের, কমেছে আটটির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। এই খাতে শেয়ারদর বেড়েছে ৯টি প্রতিষ্ঠানের। শেয়ারদর কমেছে পাঁচটির আর ২১টি প্রতিষ্ঠানের অপরিবর্তিত ছিল। এছাড়া বাকি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর কম-বেশি লেনদেন হলেও টেলিযোগাযোগ খাতের কোনো প্রতিষ্ঠান শেয়ারদর বাড়ার খাতায় স্থান করে নিতে পারেনি।
সার্বিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ২৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় তিন পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৮টির। আর ১৮০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫২১ কোটি ৮৪ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৬৪ কোটি ৯২ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৫৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১৯১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ৯৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। লেনদেন বেড়েছে পাঁচ কোটি আট লাখ টাকা।
