বিমা খাতে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: হঠাৎ চাঙা হয়ে উঠেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর। সম্প্রতি প্রতিদিনই এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। গতকাল এর ব্যতিক্রম ঘটেনি, বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর। দিন শেষে দর বৃদ্ধির তালিকায় উঠে এসেছে এই খাতের পাঁচ কোম্পানির নাম।

এদিকে কয়েকটি কারণে এই খাতের শেয়ারের দর বাড়ছে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বিশ্বব্যাংক থেকে বিমা খাতের উন্নয়নে সহজ শর্তে ঋণ আসার খবর। ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) আওতায় সরকার ৫২০ কোটি টাকার ঋণ পাবে। এই ঋণ বিমা উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে। বর্তমানে বাজারে এমন খবর রয়েছে, যে কারণে এই খাতে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা।

এছাড়া বর্তমানে এই খাতের শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত বিনিয়োগের অনুকূলে অবস্থান করছে। এটাও বিমা খাতের শেয়ারের দর বাড়ার একটি কারণ। তাছাড়া দীর্ঘদিন থেকে এই খাতের শেয়ারের দর সেভাবে বাড়েনি, যে কারণে অল্পদর পেয়ে এই খাতের শেয়ারে ঝুঁকে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর জের ধরে সম্প্রতি বিমা খাতের শেয়ারের চাহিদা বেড়েছে, যার ফলে বাড়ছে দর।

গতকাল দিন শেষে বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ইসলামী লাইফ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গ্রিন ডেলটা ইন্স্যুরেন্স এবং রূপালী লাইফের নাম। দিন শেষে পপুলার লাইফের শেয়ার কেনাবেচা হয় ১২৯ টাকা ৩০ পয়সায়। প্রাইম ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয় ৫৭ টাকা ৬০ পয়সায়। এছাড়া তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানির মধ্যে প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ১১১ টাকা ৩০ পয়সা এবং গ্রিন ডেলটা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ৬১ টাকা ৬০ পয়সায় কেনাবেচা হয়। অন্য কোম্পানি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয় ৫৮ টাকায়।

বর্তমানে বিমা খাতের শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত অবস্থান করছে প্রায় ১২-তে। নিয়ম অনুযায়ী ১৫-এর নিচে পিই রেশিও থাকলে সেই কোম্পানিতে বিনিয়োগ তুলনামূলকভাবে ঝুঁকিহীন মনে হয়। সে কারণে বিনিয়োগকারীরা এসব শেয়ারের সঙ্গে থাকছেন বলে মনে করেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, এখন বাজারে ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ শেয়ারই বিনিয়োগযোগ্য। এই শেয়ারে বিনিয়োগ করলে অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিও কম। এ কথা বিবেচনা করে হয়তো এসব শেয়ার কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা, যে কারণে এই শেয়ারের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০-এর নিচে মার্কেট পিইরেশিও অবস্থান করলেও তাকে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকি বলে মনে করা হয়। এর ওপরে গেলে ধীরে ধীরে তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সে কারণে ৪০-এর ওপরে পিই রেশিও গেলে সেই শেয়ারে মার্জিন সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০