রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল সূচকের ইতিবাচক গতিতে লেনদেন হয়েছে। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে গেছে। বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন সত্ত্বেও সূচক ইতিবাচক ছিল। আর্থিক ও ব্যাংক খাতের বেশ কয়েকটি কোম্পানির দর বৃদ্ধি এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। গতকাল লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বিমা খাত। এ খাতে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বেড়েছে। তবে দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল আর্থিক খাত। এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাত শতভাগ ইতিবাচক ছিল। এছাড়া কারিগরি ত্রুটির কারণে স্টক এক্সচেঞ্জের ক্লিয়ারিং এবং সেটেলমেন্ট কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গতকালও স্পট মার্কেটে লেনদেন স্থগিত ছিল। যার কারণে প্রায় ২৬-২৭টি কোম্পানির লেনদেন বন্ধ ছিল। এ কারণেও লেনদেন কম হয়েছে।
১৫ শতাংশ বা প্রায় ৪২ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে বিমা খাত। এ খাতে ৫৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে তিন টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। এছাড়া প্রায় সাত শতাংশ বেড়ে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করে। রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাড়ে চার কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ৯০ পয়সা। প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ। এ খাতে ৫১ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ন্যাশনাল টিউবসের সোয়া ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে এলেও আট টাকা ২০ পয়সা দরপতন হয়। সৃহƒদ ইন্ডাস্ট্রিজের পাঁচ কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে দেড় টাকা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে ৩৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। উত্তরা ব্যাংকের প্রায় আট কোটি টাকা লেনদেন হয়, দরপতন হয় এক টাকা। সাড়ে সাত শতাংশ বেড়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক দর বৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এ খাতে ৪৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। স্কয়ার ফার্মার সোয়া ছয় কোটি টাকা লেনদেন হয়, দরপতন হয় ২০ পয়সা। বস্ত্র খাতে ৩৯ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে অবস্থান করে তোসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ ও প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল। সাড়ে ছয় শতাংশের বেশি বেড়েছে কোম্পানি দুটির দর। এছাড়া আর্থিক খাতে ৬৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। প্রায় সাড়ে ছয় শতাংশ বেড়ে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে বি ক্যাটেগরির ন্যাশনাল ফিড মিল দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে। কোম্পানিটি গত মাসে সর্বশেষ ২০১৯ সালের জন্য মাত্র এক শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ২০১৮ সালে কোম্পানিটি তিন শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। গত হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসানে থাকলেও বছর শেষে লোকসান কাটিয়ে ইপিএস হয় ১৫ পয়সা। তা সত্ত্বেও বছর শেষে ন্যূনতম লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এদিকে আগামীকাল কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও প্রকাশ করা হবে। আর গতকাল কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করে। এমন দুর্বল কোম্পানির এতটা দর বৃদ্ধি কতটা স্বাভাবিক তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।