Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 11:02 am

বিমা চমকে উত্থান পুঁজিবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমা খাতের চমকে দেশের প্রধান পুঁজিাবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল রোববার উত্থান হয়েছে। এদিন প্রধান সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়েছে। সূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।

বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের পুঁজিবাজারে এর প্রভাব পড়েছে। দৈনিক লেনদেনগুলোর দিকে তাকালেই যা স্পষ্ট দেখা যায়। চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যে হাজার কোটি টাকার লেনদেন দেখেনি ডিএসই। হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানির লেনদেন হচ্ছে ঘুরেফিরে। বড় মৌল ভিত্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ার আটকে রয়েছে ফ্লোর প্রাইসে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের পর ছাড়া পুঁজিবাজারের সুদিন ফিরবে না।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের ৪২টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৪১টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, যা শতাংশের হিসাবে ৯৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর অপরিবর্তিত রয়েছে একটি কোম্পানির শেয়ারদর। এরপর প্রকৌশল খাতে লেনদেন হওয়া ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের যেসব কোম্পানির লেনদেন হয়েছে, তার মধ্যে ২৬ দশমিক ৩২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, সিরামিক, করপোরেট বন্ড ও আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।

ডিএসইর তথ্যমতে, এদিন ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানের ৮ কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার ১৫৫টি শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বন্ডের হাতবদল হয়েছে। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭০ কোটি ৫৯ লাখ ৬ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪৩ কোটি ছয় লাখ ৩২ হাজার টাকা। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে ১০৬টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৪০টি কোম্পানির শেয়ারদর। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৩টি কোম্পানির শেয়ারদর।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে এবং ডিএস ৩০ সূচক দশমিক ৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ফুয়াং ফুডের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ইউনিয়ন ইন্সুরেন্স লিমিটেডের শেয়ার। এরপরের তালিকায় রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন, শমরিতা হাসপাতাল, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, বিচ হ্যাচারি, জেমিনি সি ফুড এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার।

সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৭১ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৪৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ৩৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টির।

দিন শেষে সিএসইতে ৬ কোটি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯৩৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬২ টাকার শেয়ার।