নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমা দাবির একাংশ হিসেবে বাকি ১২ কোটি টাকা পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর হবিগঞ্জের মাধবপুরে অবস্থিত সায়হাম কটন মিলে আগুন লাগে। এতে সুতা উৎপাদনের জন্য গুদামে মজুত রাখা সব কাঁচা তুলা পুড়ে যায়। ফলে গুদামের অবকাঠামোও নষ্ট হয়ে যায়। আর ওই অগ্নিকাণ্ডে কোম্পানির ৫৯ কোটি তিন লাখ ৭০ হাজার ২২১ টাকা লোকসান হয়। তবে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সে কোম্পানিটির বিমা করা ছিল। ক্ষতির বিপরীতে বিমা দাবি হিসেবে গ্রিন ডেল্টা কোম্পানিটিকে ৪২ কোটি দুই লাখ ৬৪ হাজার ১১৪ টাকা পরিশোধ করবে। এরই একটি অংশ হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে বাকি ১২ কোটি দুই লাখ ৬৪ হাজার ১১৪ টাকা পেয়েছে। এর আগে দ্বিতীয় মেয়াদে ১৫ কোটি টাকার চেক এবং প্রথম মেয়াদে বিমা দাবির অংশ হিসেবে ১৫ কোটি টাকার চেক গ্রহণ করেছিল সায়হাম কটন। অর্থাৎ, বিমা দাবির সম্পূর্ণ (৪২ কোটি দুই লাখ ৬৪ হাজার ১১৪ টাকা) টাকা পেল সায়হাম কটন। বিমা দাবির এ অর্থ ঋণ পরিশোধ ও কাঁচা তুলার গুদামঘর পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
সায়হাম কটন মিলস ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১৪৮ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩০৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। তাদের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ৭৫ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৪৪ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ শেয়ার।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১১ পয়সা। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস ২৫ পয়সা বেড়েছে। তৃতীয় প্রান্তিকের ন্যায় প্রথম তিন প্রান্তিকেও কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে। তিন প্রান্তিক বা ৯ মাসে (জুলাই ’২০-মার্চ ’২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৬ পয়সা।