Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 11:28 pm

বিমা শেয়ার বিক্রির চাপে টালমাটাল সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচক পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন একই পরিমাণ বা সাড়ে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার ঘরে রয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল দ্বিতীয় কার্যদিবসের পতনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল মিউচুয়াল ফান্ড খাতের শেয়ারে। এতে খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন বিমা খাতের শেয়ারে। এতে আলোচ্য খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। এক দিন পরই খাতটিতে শেয়ারদরে পতন হলো। এর আগে গত কয়েক দিন ধরে খাতটির দাপট বেশি হওয়ায় এ খাতের একাধিক শেয়ারের দর ৪০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গতকাল লেনদেন চলার সময়ে সূচক বৃদ্ধি ও কমার মধ্যে থাকলেও বিমা খাতের বিক্রির চাপে সূচকের টালমাটাল অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল মিউচুয়াল ফান্ড খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৯টির দর বেড়েছে এবং বাকি কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। খাতটিতে দর বেড়েছে ১ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল আইটি খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন এবং পাট খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় বিমা খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। পরের স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। এরপর শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল সিমেন্ট খাত।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৮ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৬ শতাংশ লেনদেন হওয়া আইটি খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সূচক পতনের দিনে ডিএসইতে ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে, যা চলতি বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগের দিন গত রোববার সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৫৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের।

ডিএসইর তথ্যমতে, গতকাল ৩৮০ প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৫৬৭ শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই ৩০ সূচক ১ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৬৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে ২২৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ৭৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৭টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে ১২ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৯৮৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৮৫১ টাকার।