নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৭ জানুয়ারির ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী নানা কায়দায় অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন শুরু করেছে। মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকার এখন তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিবকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ বিবৃতি দেন। হাবিবুর রশীদ হাবিবের বিরুদ্ধে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিন মামলায় ৬ বছর নয় মাস সাজা হয়েছে। এছাড়া দুটি মামলা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এর মধ্যে সবুজবাগ থানার একটি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী রোববার পল্টন থানার আরেকটি মামলার শুনানি রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা
প্রদান এবং জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম চালানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছেÑদেশের বিরোধী দলগুলো যেন দখলদার আওয়ামী সরকারের স্বেচ্ছাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস না পায়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নেতাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ সেই কর্মসূচিরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ। তবে জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীকে পরাজয় বরণ করতেই হবে। আওয়ামী ভয়াবহ দুঃশাসনের মূলোৎপাটন ঘটাতে জনগণ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
একইদিন সাজাপ্রাপ্তসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য লতিফুল্লাহ জাফর, বংশাল থানাধীন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য আরিফ হাসান গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর এবং কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।