বিল গেটসের পছন্দের প্রযুক্তিবিষয়ক বই

কোনো বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পেতে আমি বই পড়ি। বই পড়া আমার প্রিয় ও প্রধানতম শখ। বিশেষ করে নতুন বিষয় জানতে কিংবা শিখতে আমি বইয়ের দ্বারস্থ হই। বিশ্বস্বাস্থ্য, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, শিক্ষা, প্রযুক্তি কিংবা বিশ্ব ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান আহরণের অন্যতম উপায় বই পড়া। কথাগুলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনকুবের ও মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের। কাজের পাশাপাশি যা পান, তা-ই গোগ্রাসে পড়ে ফেলেন তিনি। বলা যায়, জেগে থাকার বেশিরভাগ সময় বই পড়ে কাটান তিনি। তিনি প্রযুক্তিতে সমসাময়িক থাকতে এ বছর যে ১০টি বই পড়বেন

লাইফ ৩.০
লেখক: ম্যাক্স টেগমার্ক
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) কীভাবে বিশ্বে প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে এই বইটি ‘লাইফ ৩.০’। টেগমার্ক পেশায় পদার্থবিদ। এআইয়ের আবির্ভাবে আমাদের করণীয় কী, কিংবা কী করা যেতে পারে, সে বিষয়ে বিশদ তত্ত্ব দেননি বলেই বইটি পছন্দ করেছেন বিল গেটস।

শুড উই ইট মিট?
লেখক: ভ্যাকলাভ স্মিল
স্মিলের লেখার ভক্ত বিল। তার সব লেখা এরই মধ্যে পড়ে ফেলেছেন তিনি। মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বিকল্প কীভাবে বৈশ্বিক খাবারের অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারে সে বিষয়টি ‘শুড উই ইট মিট’ বইটির আলোচ্য বিষয়। অনেকে তার মতের বিপরীতে যাবে। তবে এ গ্রহের ক্ষতি না করে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার উপায়টি লেখক বাতলে দিয়েছেন।

আই কনটেইন মাল্টিটিউডস
লেখক: এড ইয়ং
মাইক্রোবস ও অন্ত্রের সুস্থতা চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি সাধন করবে বলে মনে করেন এড ইয়ং। একই সঙ্গে আমাদের পাচনতন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া কীভাবে অপুষ্টি দূর তা ‘আই কনটেইন মাল্টিটিউডস’ বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয় দুটিই আকৃষ্ট করেছে বিলকে।

দি এমপারর অব অল ম্যালাডিজ
লেখক: সিদ্ধার্থ মুখার্জি
ক্যানসারের ইতিকথা ও জীবনচরিত ‘দি এমপারর অব অল ম্যালাডিজ’। পুলিৎজার পুরস্কার অর্জন করে তাত্ত্বিক এ বইটি ২০১০ সালে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান চিকিৎসক ও অনকোলজিস্ট সিদ্ধার্থ মুখার্জি। লেখক এ বইয়ে ক্যানসারের ইতিহাস পুনঃপর্যালোচনা ও এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বইটিতে লেখক খুব সহজ ও ঝরঝরে ভাষায় মানুষের হাজার বছরের ক্যানসার প্রতিরোধের সংগ্রামের পাশাপাশি আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় ক্যানসারের প্রতিকার ও প্রতিরোধের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। মূলত ক্যানসারের বিরুদ্ধে মানুষের যুদ্ধের ইতিহাস এ বইটি।

বিহাইন্ড দি বিউটিফুল ফরএভারস
লেখক: ক্যাথেরিন বু
মুম্বাইয়ের বস্তিবাসীদের জীবন নিয়ে লেখা এ বইটি প্রযুক্তিবিষয়ক বইয়ের তালিকায় রাখার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন বিল গেটস। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বৈশ্বিক স্যানিটেশন প্রক্রিয়া নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখিকা। গোটা বিশ্বের টয়লেটব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে বিলের আগ্রহ রয়েছে।

হোমো ডিউস
লেখক: ইয়োভাল নোয়া হারিরি
জরা, ব্যাধি, ক্ষুধা ও যুদ্ধমুক্ত একটি ভবিষ্যতের বর্ণনা করেছেন ইয়োভাল নোয়া হারিরি এ বইয়ে। সে সময়ে অভিজাত ও সুপার-ইন্টেলিজেন্ট রোবট নিয়ন্ত্রণ করবে মানবজাতিকে।

এনলাইটমেন্ট নাউ
লেখক- স্টিভেন পিঙ্কার
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ কীভাবে আমাদের জীবনমানে উন্নয়ন ঘটাবে তা নিয়ে এ বইটি। ১৫টি ভিন্ন পরিমাপক দিয়ে লেখক বুঝিয়েছেন ‘কীভাবে ও কেন বিশ্ব বসবাসযোগ্য হবে’। অতীতের তুলনায় আমাদের এ ধরিত্রী সবার কাছে আরও প্রিয় হয়ে উঠবে। বিষয়গুলো গেটসের ভাষায় ‘চমকপ্রদ’। তাই এ বইটি তিনি রেখেছেন পছন্দের তালিকায়।

সাসটেইন্যাবল এনার্জি
লেখক: ডেভিড ম্যাকে
শক্তির উৎস, কীভাবে এটি ব্যবহার করা হয়, এর চ্যালেঞ্জ কীÑএসব বিষয়ের কৌতুহল মেটাবে ডেভিড ম্যাকের এ বইটি।

এনার্জি মিথস অ্যান্ড রিয়েলিটিজ
লেখক: ভ্যাকলাভ স্মিল
স্মিলের মতে, আমাদের বর্তমানের ‘শক্তি অবকাঠামো’ দীর্ঘদিন টিকে থাকবে। লেখকের সঙ্গে বিলও মনে করেন, নিউক্লিয়ার শক্তি কার্বননিঃসরণের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করবে দশকের পর দশক।

দি মোস্ট পাওয়ারফুল আইডিয়া ইন দি ওয়ার্ল্ড
লেখক: উইলিয়াম রোজেন
অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে শিল্পবিপ্লব, উদ্ভাবনী শক্তি, স্টিম ইঞ্জিন কীভাবে মানবসভ্যতার দ্রুত উন্নতিতে ভূমিকা রেখেছে, তা নিয়ে এ বইটি। ওই সময়ে উদ্ভাবকদের উর্বর ভূমিতে পরিণত হয় গ্রেট ব্রিটেন।

রতন কুমার দাস

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০