নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার। বিশাল সিলেবাসের পরীক্ষা আর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন আগামী প্রজš§ গড়ে তুলতে এই নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, নতুন পাঠ্যক্রমের আরেকটি উদ্দেশ্যে হচ্ছে শিক্ষা হবে আনন্দময়। সারাক্ষণ পরীক্ষার ভয় আর অনেক অনেক বইয়ের চাপ শুধু যেন না হয়। বিশাল সিলেবাসের পরীক্ষা আর হবে না। সারা বছরে স্কুলে বিভিন্ন কার্যক্রমের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে।
গতকাল রাজধানীর টিকাটুলিতে শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে দেয়ালিকা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন এবং আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিধন্য শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধর্মান্ধরাই সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায় এবং নারীদের অগ্রগতিতে বাধা দেয়। যেসব ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের সময় লাখ লাখ মানুষকে ধর্মের নামে হত্যা করেছিল, দুই লাখ মা-বোনকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে ইজ্জত হরণ করেছিল, তারা এখনও সক্রিয়। এরাই এখনও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়, পূজামণ্ডপে আঘাত করে। এরাই এখনও মেয়েদের পড়াশোনা করতে দিতে চায় না, নারীদের অগ্রগতিতে বাধা দেয়। এদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধতা রুখতে তোমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তোমরা সম্ভাবনাময় আগামী প্রজন্ম। তোমরাই জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে।
শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।