দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে বিশেষ শিশুদের স্বেচ্ছায় বিনা মূল্যে শিক্ষাদান করছেন দলদলিয়া গ্রামের আজিজুল ইসলাম ও তার কয়েকজন সহযোগী শিক্ষক।
উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের দলদলিয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আজিজুল ইসলাম নিজের ২০ শতক জমির ওপর ‘দলদলিয়া প্রতিবন্ধী স্কুল’ নামে একটি প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে টিনশেডের পাঁচটি ক্লাসরুম, একটি বিশ্রামাগার ও শিক্ষকদের বসার জন্য একটি
কক্ষ রয়েছে।
এর প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করি। এখানে স্বেচ্ছায় প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদান করছি। তিনি বলেন, এ বিদ্যালয়টিতে আটজন শিক্ষক রয়েছেন। তারাও স্বেচ্ছায় শিক্ষাদান করছেন। এছাড়া এ স্কুলটিতে দুজন গাড়িচালক ও একজন অফিস পিওন রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এ বিদ্যালয়টির ব্যয়ভার নিজেই বহন করে চলেছি।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ পাল বলেন, সংসারের জন্য অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতার অনুরোধে এ বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘ সময় ধরে স্বেচ্ছায় শিক্ষাদান করছি। প্রতিবন্ধী শিশুরা যাতে মা-বাবার বোঝা না হয়ে আলোর মুখ দেখতে পায়Ñসে উদ্দেশ্যেই এই শ্রম দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে একইভাবে ফাতেমা খাতুন, হাসিয়ারা খাতুনসহ সব শিক্ষক স্বেচ্ছায় এখানে শিক্ষাদান করছেন। বর্তমানে এ স্কুলটিতে ১১৯ শিক্ষার্থী রয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী, কাজিহাল, আলাদিপুর, দৌলতপুর ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিশুরা আসে। শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য বিদ্যালয়টির নিজস্ব ভ্যানগাড়ি রয়েছে। আসা-যাওয়ার খরচ তাদের অভিভাবক বহন করেন।
সরকার যদি বিদ্যালয়টির দিকে নজর দেয় বা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে আজিজুল ইসলাম প্রতিবন্ধীদের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবেন।
মো. রজব আলী
