ক্রীড়া ডেস্ক: অতীত পরিসংখ্যান, শক্তি, বর্তমান ফর্ম সব দিক দিয়েই কলম্বিয়ার চেয়ে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল দলটি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একবারে শেষ দিকে গোল হজম করে কোয়ার্টারে উঠার শঙ্কায় পড়েছিল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে টাইব্রেকারে গোলরক্ষক পিকফোর্ড বীরত্বে প্রতিপক্ষকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করে সাউথগ্যাটের শিষ্যরা। এ জয় নাকি বিশ্বকাপ জিততে ইংলিশদের বাড়িয়ে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস। গত পরশু ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এমনটাই জানিয়েছেন কেইন।
এর আগে বিশ্বকাপের আগের তিন টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে তিনবারই হেরেছিল ইংল্যান্ড। যে কারণে গত পরশু দলটির ছিল শঙ্কা। অবশেষে গোলরক্ষক বীরত্বে অতীত মুছে নতুন ইতিহাস লিখেছে ইংলিশরা। তাতে দলের মানসিকতার উন্নতি দেখছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেইন। তিনি বলছেন, এ জয়ের ফলে বিশ্বকাপ জিততে তারা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। ‘আমি ভীষণ গর্বিত। নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে গোল হজম করাটা দুর্ভাগ্য। কিন্তু যেভাবে শুটআউটে জয় পেয়েছি, সেটি আমাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। এ জয় আমাদের একতা আর মানসিক শক্তির প্রতিফলন।’
টাইব্রেকারে জিততে হবে ইতিহাস। ব্যাপারটা নাকি মাথায় ছিল ইংলিশদের। গত পরশু যা দলটিকে জিতলে কিছুটা হলেও কাজ করেছিল শক্তি হিসেবে। ব্যাপারটি নিজেই জানিয়েছেন কেইন। বলেন, ‘আমাদের জন্য বড় রাত। সবাই জানতাম পেনাল্টিতে ইংল্যান্ডের ইতিহাস ভালো নয়। কিন্তু এবার তেমন কিছু হয়নি।’
আগামী শনিবার সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সুইডেনের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।