Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 10:57 am

বিশ্বকাপ ট্রফিতে চোখ এমবাপের

ক্রীড়া ডেস্ক: ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল, তখন তার জন্মই হয়নি। জিনেদিন জিদানদের বীরত্বের গল্প মা-বাবার কাছে শুনে বড় হয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। জীবনের পরিক্রমায় এবার নিজেই তেমন একটা সময়ে দাঁড়িয়ে! এখন শিরোপার সুবাস পাচ্ছে তার দল ফ্রান্স। গত মঙ্গলবার রাতে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফরাসিরা উঠে গেছে রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে। ১৫ জুন শিরোপা লড়াইয়ে নামবে সেই ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা। দলটির নতুন প্রজন্মের ফুটবলাররা অগ্রজদের মতোই ট্রফির জন্য উম্মুখ হয়ে আছেন। কিলিয়ান এমবাপেরা সেরাটা দিতে লড়তে প্রস্তুত।
১৯ বছর বয়সী এ বিস্ময় বালক এমবাপে রাশিয়া বিশ্বকাপে তারকা খ্যাতি পেয়েছেন। বল পায়ে তার কারিকুরিতে মুগ্ধ সবাই! অল্প বয়সেই দুর্দান্ত ফুটবলের পসরা সাজিয়ে খোদ কিংবদন্তি পেলের দৃষ্টি কেড়েছেন। ব্রাজিলিয়ান বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলােরর প্রশংসাও পেয়েছেন এমবাপে। এ টিনেজ ফুটবলারটি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি রাজত্ব করতেই এসেছেন।
সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ৫৬ মিনিটে এমবাপের ব্যাকহিল পাস দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছেন সবাই। অলিভার জিরুর্ডের শট ফিরিয়ে দেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক। অ্যান্তেনিও গ্রিজম্যানের পাস পেয়ে নিজে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘুরে ডানপায়ের থেকে বল নিয়ে বাঁ পায়ের পেছনে দিয়ে পাস দেন এমবাপে। তার সে পাস দেওয়ার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। ম্যাচে গোল না পেলেও ম্যাচে বল পায়ে গতির ঝড় তুলেছেন তিনি। একাধিকবার ভেঙেছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ!
এমবাপে এখন আরেকটি ম্যাচ জেতার অপেক্ষায়! ফাইনাল জিততে জীবন বাজি রাখতেও তৈরি তিনি। জানালেন, ‘দেখুন, সবকিছুর বিনিময়ে আমি বিশ্বকাপ জিততে চাই। ট্রফি নিয়ে তবেই ঘুমাতে চাই। দেখুন, আমি ১৯৯৮ সালে জন্ম নিইনি। এ কারণেই বিশ্বকাপের কোনো স্মৃতি নেই। ফাইনালে আমার পুরোটা দেব। ট্রফি জিততে প্রয়োজনে নিজেদের মেরে ফেলব আমরা।’
ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াইয়েও রয়েছেন এমবাপে। সেখানে তার লড়াই হবে আইডল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে। এটা নিয়ে এখন ভাবছেন না এ ফরাসি ফুটবলার। জানালেন, ‘এখন ব্যালন ডি’ অর নিয়ে ভাবতে চাই না। আমি চাই বিশ্বকাপ ট্রফি!’ ফাইনালের আগেই রাশিয়া বিশ্বকাপে এরইমধ্যে তিন গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে।