শেয়ার বিজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। গতকাল শনিবার সকালে বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৭৮ ডলারে উঠেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে যা ছিল ৭১ ডলার। ধারণা করা হচ্ছে, তেলের দাম ৮০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দেশটির জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এতে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। গোল্ডম্যান স্যাকসের পূর্বাভাস, ইরান দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উৎপাদন করতে পারে। লোহিত সাগরপথে সমস্যা হলে সরবরাহে আরও বিঘ্ন হবে। পুরো মধ্যপ্রাচ্য থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানিতে তার প্রভাব পড়বে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে অবধারিতভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এর আগে ২০২২ সালে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশের ঘরে চলে গিয়েছিল। তার ধাক্কায় সারা পৃথিবীতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তখন খাদ্য থেকে শুরু করে গৃহস্থালি, জ্বালানি—সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। এর মধ্যে আবার ডলারের বিনিময়মূল্য বেড়েছে। ফলে তেলের দাম ৯০ ডলারে উঠে গেলে আবারও সারা পৃথিবীতে মূল্যস্ফীতি লাগামছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে বাজারে তেলের সরবরাহ এখন ভালো। ওপেক উৎপাদন হ্রাসের নীতি থেকে সরে আসছে। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চাহিদার সংকট থাকায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
ইরানের তেল স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করছি।বাইডেনের এমন মন্তব্যের পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের মূল্য ৫ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছর চীনের কম চাহিদা এবং সৌদি আরব থেকে সরবরাহ মূল্য কমিয়ে রাখার জন্য তেলের মূল্য কিছুটা নিচের দিকে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা বৃদ্ধি এখন তেলের বাজারকে অস্থিতিশীল করে দিচ্ছে।
এদিকে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধে মরিয়া ইসরায়েল। তাই, বাইডেন প্রশাসনকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানো হবে না- এমন কোন গ্যারান্টি দেয়নি ইসরায়েল। আগামীকাল ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার বার্ষিকী। ঐদিনটি ইরানে হামলার দিন হিসেবে ইসরায়েল ব্যবহার করবে কি না, সেই বলা কঠিন।