শেয়ার বিজ ডেস্ক: কয়েক দফা দাম বাড়ার পর বিশ্ববাজারে আরও কমল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। এজন্য বিশ্লেষকরা অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীনকে দায়ী করেছেন। খবর: রয়টার্স।
গতকাল বুধবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দুই বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই’র দাম কমেছে। এদিন প্রতি ব্যারেল (এক ব্যারেল=১৫৯ লিটার) অপরিশোধিত ব্রেন্ট ক্রুড তেল বিক্রি হয়েছে ৯৭ দশমিক ৫২ ডলারে। আগের দিনের তুলনায় ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৭৯ ডলার কমেছে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম। আর বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১ দশমিক ৩৪ ডলার কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০ দশমিক ৩৯ ডলারে।
আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষক, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের মতে, চীন জ্বালানি তেল কেনা কমিয়ে দেয়ার কারণে তেলের দামে দীর্ঘ মন্দাভাব শুরু হয়েছে। তেলের বাজার চাঙা রাখতে সম্প্রতি জ্বালানি তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করার পদক্ষেপ নেয়ার পর বিশ্ববাজারে গত কয়েক দিন খানিকটা স্থিতিশীল ছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম।
তবে শূন্য কভিড নীতির কারণে চীনের প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি এলেও দেশটিতে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমেছে, এমন তথ্য সর্বাংশে সঠিক নয়। কারণ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে রাশিয়ার জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বর্তমানে চীন। গত কয়েক মাসে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল কিনেছে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির এ দেশটি। এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার রয়টার্স এক প্রতিবেদনে আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা, উদীয়মান বাজারগুলোয় ঋণ সংকট এবং বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক চীনের ‘শূন্য কভিড’ নীতির কারণে জ্বালানি তেলের ভবিষ্যৎ চাহিদা এখনও খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়।