শেয়ার বিজ ডেস্ক: ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম গত সোমবার এক ডলার কমেছে। এতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৮০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। খবর: রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেডের সম্ভাব্য সুদের হার বৃদ্ধি এবং চীনের দুর্বল উৎপাদন সূচকের চিত্র প্রকাশ্যে আসায় তেলের বাজার নি¤œমুখী হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত সোমবার অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম এক ডলার শূন্য দুই সেন্ট বা ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম এক ডলার ১২ সেন্ট বা ১ দশমিক ৫ সেন্ট কমেছে।
এদিন ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই উভয়ের শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ দরপতন হয়েছে। এদিন ব্রেন্ট বিক্রি হয় ব্যারেলপ্রতি ৭৯ ডলার ৭২ সেন্টে এবং ডব্লিউটিআই’র দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ব্যারেল ৭৬ ডলার ১৫ সেন্টে।
এর আগে জ্বালানি সংস্থাগুলো ইতিবাচক আয়ের তথ্য প্রকাশের পর গত শুক্রবার বেশিরভাগ তেলের দাম দুই শতাংশ বেড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে গত মার্চে ভোক্তা ব্যয় অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তবে মূল্যস্ফীতির চাপে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ আবার সুদের হার বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফেডারেল রিজার্ভ চলতি সপ্তাহে সুদের হার আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেডের আগ্রাসী পদক্ষেপ জ্বালানি এবং ধাতুর বাজারের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। মিশ্র অর্থনৈতিক সংকেতের মধ্যে সাধারণত সতর্ক থাকেন বিনিয়োগকারীরা। সাম্প্রতিক সেশনে ব্রেন্ট ক্রুড বৃহত্তর বাজার অনুসরণ করছে। বেশ কয়েকটি অর্থনীতির তথ্য আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
অন্যদিকে চীনের ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) গত মাসে ৫০ পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে। গত রোববার দেশটির সরকারি তথ্যে দেখা যায়, চীনের পিএমআই পয়েন্ট ৫১ দশমিক ৯ থেকে কমে ৪৯ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
থার্ড ব্রিজের বিশ্লেষক পিটার ম্যাকনেলি বলেন, চীনের ওপর বাজারের গতিবিধি বিশেষভাবে নির্ভরশীল। দেশটির উৎপাদন খাতের চিত্র হতাশাজনক।