শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম গতকাল সোমবার ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ পর্যায়ে নেমেছে। মূলত বিশ্বব্যাপী ব্যাংক খাতে চলমান অস্থিরতার কারণে এ পতন ঘটেছে। খবর: রয়টার্স।
ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের কারণে বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা বেড়েছে। তার প্রভাবে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে শুরু হয়েছে ব্যাপক দরপতন।
সোমবার দিনের শুরুতে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম নেমে গিয়েছিল ব্যারেলপ্রতি ৭০ দশমিক ৫৬ মার্কিন ডলারে। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে ব্রেন্টের সর্বনিন্ম দাম।
গত সপ্তাহে এর দাম কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ, যা গত ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ সাপ্তাহিক পতন।
একই অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটেরও (ডব্লিউটিআই)। এদিন সকালে এপ্রিলে সরবরাহযোগ্য ডব্লিউটিআই’র দাম নেমে যায় ৬৪ দশমিক ৫১ ডলারে, যা ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বনি¤œ।
গত সপ্তাহে এর দরপতন হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালের এপ্রিলের পর থেকে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক পতন।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের এমন ব্যাপক দরপতনের পেছনে বৈশ্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় চলমান অস্থিরতা এবং তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বাড়ানোর সম্ভাবনা বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের হঠাৎ পতনের মধ্য দিয়ে ব্যাংক খাতের সাম্প্রতিক এ অস্থিরতার শুরু। এ সংকট ছড়িয়ে পড়া আটকানোর চেষ্টায় একীভূত হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের দুই বৃহত্তম ব্যাংক।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের কমোডিটি রিসার্চের প্রধান ব্যাডেন মুর বলেন, বর্তমানে তেলের) বাজারের মূলদৃষ্টি রয়েছে ব্যাংক খাতের অস্থিরতা এবং ফেডের সুদের হার আরও বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপর। এছাড়া ওপেকের আসন্ন সভাও বাজার পরিস্থিতির আরেকটি সম্ভাব্য অনুঘটক। তবে এরপরও জ্বালানি তেলের দরপতন থামেনি।
রয়টার্সের জরিপে বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ব্যাংকিং অস্থিরতা সত্ত্বেও আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।