শেয়ার বিজ ডেস্ক: সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগের কারণে আবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। এর আগে সপ্তাহজুড়ে তেলের দাম স্থিতিশীল ছিল। খবর: রয়টার্স।
রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বিশ্ববাজারে। এ কারণে বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
গতকাল সোমবার সকালে তেলের দাম বেড়েছে। এদিন বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ১ দশমিক ১৫ বা ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বা ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে আগে ছিল ৮৬ দশমিক ১৬ ডলারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধির কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি মন্থর করতে পারে, এমন উদ্বেগের কারণে গত সপ্তাহে তেলের দাম কমে। বেইজিং কভিড নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করার পর চীনের পেট্রল ও ডিজেল রপ্তানিও বেড়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও কুয়েত পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (কেপিসি)
প্রধান নির্বাহী বলেছেন, এখনও কোনো পরিবর্তন ছাড়াই একই দামে ও পরিমাণের চাহিদা রয়েছে গ্রাহকদের। উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি বর্তমানে ওপেক কোটা অনুযায়ী প্রতিদিন ২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল
উৎপাদন করছে।
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এখনও ডলারের ওপর নির্ভর করে, যদিও ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়া রুবলে তেল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ছয় মাস ধরে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে।
কভিড মহামারি শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববাজারে গড়ে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছিল ৪২ ডলার। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ছিল ৪৯ ডলার। এর পর থেকে গড়ে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ফেব্রুয়ারিতে ৫৩ ডলার, মার্চে ৬০, এপ্রিলে ৬৫, মে মাসে ৬৪, জুনে ৬৬, জুলাইয়ে ৭৩ ও আগস্টে ৭৪ ডলার। অক্টোবরে এই দাম ৮৫ ডলারে ওঠে।