শেয়ার বিজ ডেস্ক: মুজিববর্ষ পালনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এর ফলে বিশ্ববাসী নতুন করে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন। খবর: বাসস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ সালের জন্য ইউনেস্কোর গ্রহণ করা ৫৯টি বার্ষিকী উদ্যাপনের প্রস্তাবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাতির পিতার জš§শতবার্ষিকী উদ্যাপন। বঙ্গবন্ধুকে শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, বরং সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতীক হিসেবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইউনেস্কো উদ্যোগী হয়। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবিচল সংগ্রাম ও ত্যাগের বিষয়গুলো ইউনেস্কো বিশেষভাবে বিবেচনা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে এখন সারা বিশ্ব নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জš§শতবার্ষিকী পালন করবে। এর ফলে তার সুদীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস ও বাঙালি জাতির জন্য তার আত্মত্যাগ বিশ্ববাসীর কাছে আরও বড় পরিসরে প্রকাশিত হবে।
সরকারি দলের সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যক্তিপর্যায়েসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে মুজিববর্ষ পালনের অসংখ্য প্রস্তাব পাওয়া গেলেও বাস্তবায়নের সুবিধার কথা বিবেচনা করে কর্মসূচি সীমিত রাখা হয়েছে। এ কর্মপরিকল্পনায় ঠাঁই না পাওয়া কোনো কর্মসূচি প্রস্তাবকারীরা নিজ উদ্যোগে বাস্তবায়ন করতে পারবেন।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী পেলাম, কী পেলাম নাÑসে হিসাব আমি মেলাই না। আমি চলি একটি আদর্শ ও স্বপ্ন কীভাবে বাস্তবায়ন করব, তা নিয়ে।
সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মুছে ফেলা ইতিহাস আজ উদ্ভাসিত হয়েছে। জাতির পিতার জš§শতবার্ষিকী জাতিসংঘভুক্ত বিশ্বের সব দেশ পালন করছে।
নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জীবন-জীবিকা বিপন্ন হচ্ছে। দেশজ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্প্রতি বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা মে মাসে এক ডিগ্রি ও নভেম্বর মাসে শূন্য পাঁচ ডিগ্রি বেড়েছে। গ্রীষ্মকালে সমুদ্রের লোনা পানি দেশের ভেতরে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নদীতে প্রবেশ করছে। গড় বৃষ্টি বেড়েছে। স্বল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় এখন আগের মতো বিভিন্ন ঋতুতে তেমন তারতম্য দেখা যায় না। এর ফলে আমাদের জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব পড়ছে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ১৯টি জেলার ৭০টি উপজেলার প্রায় চার কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।