প্রতিনিধি, নরসিংদী: টানা ১২ কিলোমিটার নদীপথ সাঁতার কেটে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন নরসিংদীর আলোকবালির বকুল মিয়া। নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালি ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামের ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে সিদ্দিকী বকুল। তিনি একজন পল্লি চিকিৎসক। বকুল পাঁচ ঘণ্টা ১০ মিনিট সাঁতার কেটে পাড়ি দিয়েছেন ১২ কিলোমিটার নদীপথ।
জানা গেছে, আলোকবালীর প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার কুয়েত প্রবাসী মনির হোসেন, রবিউল ইসলাম ও দুবাই প্রবাসী সোহরাব হোসেন সম্মিলিতভাবে ঘোষণা করেন, মনিপুরা বাজার বা খোদাদিলা ঘাট থেকে সাঁতার কেটে নরসিংদী লঞ্চঘাট যেতে পারলে পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। এলাকার প্রবাসীদের ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন বকুল। ছোটবেলা থেকেই সাঁতার প্রতিযোগিতায় দক্ষ বকুল ঘোষণার শর্ত মোতাবেক গত রোববার সকাল ১০টায় রায়পুরা উপজেলার মনিপুরা বাজার ঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন এবং একটানা পাঁচ ঘণ্টা ১০ মিনিট সাঁতার কেটে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে নরসিংদীর লঞ্চঘাট পৌঁছেন।
এ সময় তার সাঁতার দেখতে কয়েকশ উৎসুক জনতা নৌকাযোগে নদীপথে তাকে অনুসরণ করতে ছুটে আসেন। তার এই টানা পাঁচ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সাঁতার কাটার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সাঁতার শেষ করে বকুল নরসিংদী লঞ্চঘাটে পৌঁছালে বন্ধুবান্ধব ও এলাকাবাসী তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং গলায় টাকার মালা পরিয়ে বরণ করে নেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বকুলের দীর্ঘপথ সাঁতার কেটে পাড়ি দেওয়ার বিষয়টি আলোকবালি ইউনিয়নসহ আশপাশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বকুলের ভাই ফাহিম সিদ্দিকী জানান, ‘বকুল ছোটবেলা থেকেই এলাকার একজন নামকরা সাঁতারু ছিলেন। তিনি সব সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। কোনোদিন দ্বিতীয় হননি, বরাবরই প্রথম হয়েছেন।’