ক্রীড়া প্রতিবেদক: এত দিন একজন ওপেনার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে দারুণ দক্ষতার সঙ্গে উইকেটরক্ষকের কাজটাও ভালোভাবে সারতে পারেন ইমরুল কায়েস, তা হয়তো জানা ছিল কারও। ওয়েলিংটন টেস্টে গতকাল গ্লাভস হাতে তা-ই দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব। উইকেটের পেছনে কোনো বদলি কিপার হিসেবে পাঁচটি ক্যাচ নিয়ে রেকর্ডও গড়েছেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান।
এই রেকর্ড গড়া দিনে অবশ্য ব্যাট করতে নেমে ইনজুরিতে পড়েন ইমরুল। পরে অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। তবে স্বস্তির কথা হাড়ে কোনো চিড় ধরেনি। তাকে নিয়ে কোনো শঙ্কাও নেই। বদলি উইকেটকিপার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৩ বছরের ইতিহাসে যা করতে পারেননি কেউ, সেটাই গতকাল পাঁচটি ক্যাচ নিয়ে করলেন ইমরুল। তার আগে এ রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের মাজিদ খানের। ১৯৭৭ সালে ওয়াসিম বারির বদলে কিপিং করতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার ব্যাটসম্যানের ক্যাচ ধরেছিলেন তিনি। এর আগে পরে অন্য কোনো বদলি কিপার তিনটির বেশি ক্যাচ ধরতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের টম ল্যাথাম ২০১৫ সালে লর্ডসে দুই ইনিংসেই ধরেছিলেন তিনটি করে ক্যাচ। লালা অমরনাথ, আমের মালিক, ব্রায়ান চারি ও কুশল মেন্ডিসও ইনিংসে তিনটি ক্যাচ ধরেন। কিপার হিসেবে নামেননি কিন্তু কিপিং করে তিনটি ক্যাচ ধরার রেকর্ড আছে কুমার সাঙ্গাকারা ও এবি ডি ভিলিয়ার্সেরও। তবে তাদের ক্যারিয়ারটা কিন্তু উইকেটকিপার হিসেবেই শুরু হয়। এখানে ভিন্ন ইমরুল। সাধারণত একজন ওপেনার তিনি। ওয়েলিংটন টেস্টে অনেকটা ঠেকায় পড়ে দাঁড়াতে হয়েছে উইকেটের পেছনে।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে দুবার ইনিংসে পাঁচবার ডিসমিসাল করেছিলেন মুশফিক। ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে মিরপুরে, ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোয়। আর এবার মুশির পাশে নিজেকে বসালেন ইমরুল কায়েস।
শনিবার জিত রাভালের ক্যাচ নিয়ে ইমরুলের শুরু। পরে নিয়েছেন কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচ। গতকাল ক্যাচ নিয়েছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের। বিজে ওয়াটলিংয়ের ক্যাচটি ছিল অসাধারণ। লেগ স্টাম্পের বাইরে মাহমুদউল্লাহর বাজে বলটিতে যেভাবে ক্যাচ নিয়েছেন, সেটি গর্বিত করবে কোনো বিশেষজ্ঞ কিপারকেও। এরপর নিল ওয়েগনারের ক্যাচ নিয়ে পূর্ণ করেছেন পঞ্চম ডিসমিসাল। মুশফিকের চোটে এর আগেও উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইমরুল। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনায় ১২০ ওভার কিপিং করেছিলেন ইমরুল। তবে সেবার ছিল না কোনো ডিসমিসাল।