শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি হবে আগামী ১৫ নভেম্বর। এত মানুষ মানবসভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাতালিয়া কানেম। খবর: এএফপি।
প্রত্যাশিত গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশুর মৃত্যু কমে আসায় এ মাইলফলক অর্জিত হয়েছে বলে প্রশংসা করেন নাতালিয়া। তিনি বলেন, যদিও আমি বুঝতে পারছি, মুহূর্তটি সবাই উদ্যাপন নাও করতে পারে। আমাদের বিশ্বে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বলে কেউ কেউ উদ্বিগ্ন। আমি এখানে বলতে চাই, মানবজীবনের নিছক এ সংখ্যা কোনো ভয়ের কারণ নয়।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, আমাদের সংখ্যা কি এতই বেশি, যা পৃথিবীর জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে? অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এটা ভুল প্রশ্ন। অতিরিক্ত জনসংখ্যাভীতির চেয়ে আমাদের মধ্যকার সবচেয়ে ধনীদের এ গ্রহের সম্পদের অতিমাত্রায় ভোগের দিকে আমাদের নজর দেয়া উচিত।
পৃথিবী কত মানুষের ভার নিতে পারে, এমন প্রশ্নের দুটি দিক থাকে প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা ও আমাদের পছন্দ। আমাদের পছন্দের পরিণতি হলো, এ গ্রহ প্রতিবছর যে পরিমাণ পুনরুৎপাদন করতে পারে, এর চেয়ে মানবজাতির অনেক বেশি জৈবিক সম্পদ ভোগ, যেমন বন ও ভূমি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যধিক ব্যবহার আরও বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।
কোহেন আরও বলেন, আমরা নির্বোধ। আমাদের দূরদর্শিতার অভাব ছিল। আমরা লোভী। আমরা আমাদের কাছে থাকা তথ্য ব্যবহার করি না। এখানেই সমস্যা নিহিত। তার মতো অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ধনী বাসিন্দাদের অতিমাত্রায় সম্পদ ভোগই হচ্ছে তুলনামূলক বড় সমস্যা।
বর্তমানে জনসংখ্যার গুণগত দিক তথা অধিকারের বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, জেন্ডার সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন ও পরিবার পরিকল্পনার মতো বিষয়গুলো অধিকতর গুরুত্ব পায়। উন্নয়নের লক্ষ্য হলো সব মানুষের জীবনের গুণগত মানের উন্নয়ন। এ ক্ষেত্রে সংখ্যাগত বা পরিমাণগত অবস্থান থেকে সরে গিয়ে গুণগত অবস্থার দিকে এগোনো জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে অঞ্চলভিত্তিক সাফল্য কম, সেখানে গুরুত্ব দেয়া জরুরি বলে মত তাদের।