শেয়ার বিজ ডেস্ক : সম্প্রতি বিশ্বের শক্তিশালী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে ইউএস নিউজ ও ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট। এ তালিকায় বিশ্বের ২৩টি দেশ স্থান পেয়েছে। বরাবরের মতো তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তালিকায় ১১টিই এশিয়া মহাদেশের।
মূলত সাংস্কৃতিক ইতিহাস, রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থনৈতিক ও সামরিক সক্ষমতা, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভূমিকা, নাগরিক সুবিধা, জীবনমানসহ বেশ কয়েকটি সূচকের ভিত্তিতে এ তালিকা করা হয়েছে।
২১ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতা, অভিজাত ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে তালিকাটি করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বাজেট, সেনাবাহিনী, আন্তর্জাতিক জোট, অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক প্রভাব ও নেতৃত্বের কারণে যুক্তরাষ্ট্র দশে নয়ের বেশি পয়েন্ট অর্জন করে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ৯ দশমিক ৬ নম্বর পেলেও সেনাবাহিনীতে দশে দশই পেয়েছে রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে না পারলেও শক্তিশালী দেশের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দেশটি।
শক্তিশালী দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীন। এ তালিকায় চীনের পরেই রয়েছে ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, ইসরাইল, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, তুরস্ক, ইরান, সুইজারল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, সুইডেন, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, কাতার, সিঙ্গাপুর, নরওয়ে, ইউক্রেন ডেনমার্ক, মিসর, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্ডান, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ।
সামগ্রিক তালিকায়, ইউরোপ থেকে জায়গা পেয়েছে ৯টি দেশ। তালিকায় এসেছে এশিয়ার ১১টি দেশের নাম। উত্তর আমেরিকার ২টি দেশ থাকলেও, লাতিন কোনো দেশের নাম নেই। আফ্রিকার কোনো দেশের নামও তালিকায় নেই।
এ তালিকা প্রকাশের পর সংস্থাগুলো বলছে, বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো সবার পছন্দ নাও হতে পারে। অনেকেই হয়তো এ দেশগুলো সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাও রাখতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ দেশগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রভাবশালী সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে, নীতি-নির্ধারকদের দখল করে আছে এবং অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপরও এরা প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে।
বিশ্বের শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র

Add Comment