বিশ্বের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নত ও সংযুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সমাধান পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে হুয়াওয়ে, যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সুবিধা দেয়। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে, যা বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। হুয়াওয়ের কর্মরত রয়েছেন প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার কর্মী।
বর্তমান সময়ের সেরা এআরএম-ভিত্তিক সিপিইউ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর অব দ্য বোর্ড ও চিফ স্ট্র্যাটেজি মার্কেটিং অফিসার উইলিয়াম ঝু চীনের শেনজেনে নতুন এই সিপিইউ, কুনপেং ৯২০ উদ্বোধন করেন।
কুনপেং ৯২০ বিগ ডেটা, ডিস্ট্রিবিউটেড স্টোরেজ ও এআরএম-ভিত্তিক অ্যাপগুলোর কম্পিউটিং ক্ষমতা বহুগুণে বাড়াতে পারে। সিপিইউটি ডিজাইন করা হয়েছে হুয়াওয়ের বিশেষ সাত ন্যানোমিটার প্রযুক্তির মাধ্যমে। এটি অ্যালগরিদম-অপ্টিমাইজ অপশন ব্যবহার করে, ও পি ইউনিটের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ও মেমরি সাব-সিস্টেম আর্কিটেকচার উন্নত করে। ফলে দ্রুতগতির প্রসেসিং ক্ষমতা নিশ্চিত হয়। এ সময়ের যেকোনো সিপিইউ’র চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি কার্যকর এটি। অন্যদের তুলনায় এটি ৩০ শতাংশ কম শক্তি খরচ করে কাজ করতে পারে। এটি ২ দশমিক ৬ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে ৬৪ কোর ব্যবহার করে কাজ করে, যা ৬৪ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে কুনপেং ৯২০ দ্বারা চালিত
তাইশান সিরিজের সার্ভারও উদ্বোধন করা হয়েছে। ঝু জানান, নতুন এই কুনপেং ৯২০ সিপিইউ ও তাইশান সার্ভার প্রধানত বিগ ডেটা, ডিস্ট্রিবিউটেড স্টোরেজ ও এআরএম-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে ব্যবহার করা হবে। এআরএম ইকোসিস্টেমের বিকাশ ঘটাতে ও কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করতে আমরা বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করব।
নকিয়া ৩.১ প্লাস
চমৎকার ডিসপ্লে, অ্যালুমিনিয়াম বডি, সাবলীল ইউজার ইন্টারফেস আর হ্যান্ডসেটটির ক্লাসিক কার্ভড ডিজাইন রুচিশীল ব্যবহারকারীর নজর কাড়বে নিঃসন্দেহে। সাশ্রয়ী দামের এই নকিয়া ৩.১ প্লাসের হার্ডওয়্যার বেশ সুচারু। প্রতিষ্ঠানটির মতে, মূল্য বিবেচনায় ফোনটি বাজারে ভালো প্রভাব রাখতে সমর্থ হবে।
ডিজাইন ও ডিসপ্লে
হ্যান্ডসেটটির পেছনের দিকটি গ্লাসের। মাল্টিটাচ আইপিএস এলসিডির ছয় ইঞ্চি পর্দার রেজুল্যুশন ১৪৪০–৭২০, পিপিআই ২৬৮, স্ক্রিন টু বডি রেশিও ৭৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ। নোচ ডিসপ্লেবিহীন ফোনটিতে অ্যাম্বিয়েন্ট ডিসপ্লে ও উন্নতমানের প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ১৮:৯ আসপেক্ট রেশিওতে উজ্জ্বল ও ঝকঝকে ছবি দেখা যাবে। পাশাপাশি ঘড়ি, ব্যাটারি লেভেল প্রভৃতির বেলায় এই প্যানেল বিশেষভাবে কার্যকর। এ প্যানেলটির অন্যতম আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে, প্রখর রোদের আলোতেও নোটিফিকেশন স্পষ্ট দেখা যাবে। ডিসপ্লের ওপরে আছে ফ্রন্ট ক্যামেরা ও এয়ারপিস সেন্সর।
অপারেটিং সিস্টেম
স্টক অ্যান্ড্রয়েড-সংবলিত নকিয়া ৩.১ প্লাসে অ্যান্ড্রয়েড ওরিও অথবা ওয়ান অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। ফোনটিতে ফেস আনলক সুবিধা নেই।
ব্যাটারি
ফোনটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর শক্তিশালী ব্যাটারি। সফটওয়্যার ও চিপসেটের নিখুঁত কম্বিনেশনের জন্য ৩৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি স্বাভাবিক ব্যবহারে এক দিনেরও বেশি ব্যাকআপ দেবে, আর হেভি ইউজিংয়ে ছয় ঘণ্টারও বেশি কাজ করবে ছয় ইঞ্চির বিশাল ডিসপ্লে। ব্যাটারি ফুল চার্জ হতে সময় নেয় মাত্র ১২০ মিনিট।
ক্যামেরা
নকিয়া ৩.১ প্লাসের পেছনে আছে দুটি ক্যামেরা। প্রথমটি ১৩ মেগাপিক্সেল এফ/২, অপরটি ৫ মেগাপিক্সেল এফ/২.৪, যা ডেপথ সেন্সর-সংবলিত। আরও রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশ ও ১০৮০পি ও ৩০ এফপিএসে ভিডিও ধারণের সুযোগ। সামনের সেলফি ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল এফ/২.২, যা দুর্দান্ত ছবি তুলতে সক্ষম। তবে স্বল্প আলোতে ক্যামেরাগুলো খুব কার্যকর নয়।
হার্ডওয়্যার
চিপসেট মিডিয়াটেক এমটি৬৭৬২ হেলিও পি২২, যা কর্টেক্স-এ৫৩ ২.০ গিগাহার্টজ অক্টাকোর সিপিউ দ্বারা কাজ করে। নিখুঁত ছবি ও গেমিং অভিজ্ঞতা পেতে ভিআর জিই৮৩২০ গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট সংযোজিত হয়েছে। দুই ভেরিয়েন্টে বাজারজাত নকিয়া ৩.১ প্লাসে ৩২ জিবি রম ও ৩ জিবি র্যাম এবং ১৬ জিবি রম ও ২ জিবি র্যাম থাকছে। মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে ধারণক্ষমতা ৪০০ জিবি পর্যন্ত বর্ধিত করা সম্ভব। রিয়ার মাউন্টেড ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার ও এফএম রেডিও এর অন্যতম আকর্ষণ।
পারফরম্যান্স
হ্যান্ডসেটটির দাম ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। রাবারাইজড ফিনিশের বডি ব্যবহারকারীদের ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেবে। ডিসপ্লে সুন্দর হলেও মাল্টি অ্যাপ ব্যবহারের জন্য ফোনটি আদর্শ নয়। পরিশেষে বলা যেতে পারে মূল্য বিবেচনায় ফোনটি বাজারে ভালো প্রভাব রাখতে সমর্থ হবে।
মন্তব্য