বিশ্বের ১০০ দেশের গণতন্ত্র সভায় নেই বাংলাদেশ: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, আমাদের দেশের নেতা বাইরে গিয়ে কথা বললে দুঃখের কিছু নেই। কিন্তু তার দেশে তিনি কী করছেন, তার দেশের মানুষ কেমন আছেন, এটা ভাবার বিষয়। আজকে কষ্টের বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গণতন্ত্র সভা ডেকেছেন ১০০ দেশকে নিয়ে। সেখানে বাংলাদেশের নাম নেই। 

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আয়োজিত দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমানের অবদান শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃত করছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এরা ইতিহাস বিকৃত করছে সমানে। এই ১৫ আগস্ট কে ঘটিয়েছে? খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেদিন মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছেন। এটাই ইতিহাস। আর দোষারোপ করেন মেজর জিয়াকে।

তিনি বলেন, হাজার চেষ্টা করেও জিয়াউর রহমানের নাম দেশের মানুষের হƒদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না। জিয়াউর রহমান দেশের মানুষকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছেন। একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের (আওয়ামী লীগ) দায়িত্ব ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। অথচ আপনারা বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে বাতিল করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছিলেন আগে। আর এবার কী করলেন? যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটা নির্বাচন হয়ে গেল সুষ্ঠুভাবে, সেই ব্যবস্থা বাতিল করলেন।

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায়ে সমগ্র নারী জাতিকে ‘অপমান করা হয়েছে’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মামলাতে যেটা দেখা যাচ্ছে, আমরা যেটুকু দেখছি পত্রিকায় ঘটনা ঘটেছে, স্বীকার করা হচ্ছে, আদালতেও স্বীকার করছে। কিন্তু রায় হচ্ছে কী? বেকসুর খালাস! কেন? কারণটা কী? কারণটা হচ্ছে যে, যারা যারা গ্রেপ্তার হয়েছে, যাদের আসামি করা হয়েছেÑদে আর সো পাওয়ারফুল। তাদের এত টাকা! জুয়েলারি, এমপি … এই সমস্ত যার ফলে কী হয়েছে? আজকে সব নারী জাতিকে অপমান করে এদের খালাস দেয়া হয়েছে।

ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার ওই রায়ে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেয়। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করা হয় এ মামলায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, হতাশ হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি। এই ধরনের রায় আমরা মেনে নিতে পারি না।

দেশের বিচার ব্যবস্থা ‘দলীয়করণের শিকার’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসকে সিনহাকে (সাবেক প্রধান বিচারপতি) বন্দুক দেখিয়ে দেশ থেকে বের করে দিলেন। কী কারণে? উনি একটা রায় দিয়েছিলেন বিচারক নিয়োগ করার যে ব্যবস্থা ছিল সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন, বিচারকদের অভিসংশনÑসেই ব্যাপারে। সেটা সরকার মেনে নিতে পারেনি।

জাগপার সভাপতি খন্দকার লুতফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাতের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামিক পার্টি আবুল কাশেম, জাগপার আওলাদ হোসেন শিল্পী আলোচনায় অংশ নেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০