শেয়ার বিজ ডেস্ক:বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত ছয় দশকের মধ্যে চলতি বছর বিশ্বে ওয়াইন উৎপাদন সর্বনি¤œ হবে বলে জানিয়েছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন অব ভাইন অ্যান্ড ওয়াইন (ওআইভি)। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বিশ্বে ওয়াইন উৎপাদন সাত শতাংশ কম হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর: বিবিসি।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তুষারপাত, বৃষ্টিপাত ও খরার কারণে এ বছর উৎপাদন কম হবে বলে জানায় ওআইভি। সর্বশেষ এত কম পরিমাণ ওয়াইন উৎপাদিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে।
বৈশ্বিক মোট ওয়াইন উৎপাদনের ৯৪ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে এমন দেশগুলোর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
ওআইভির পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান জর্জিও দেলগ্রোসো জানান, উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে শক্তিশালী ঝড়ের কারণে এমন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ওআইভি’র তথ্য অনুসারে কয়েকটি দেশে বৃষ্টিপাত ও ঝড় এবং অন্য কয়েকটি দেশে তীব্র খরার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোয় ওয়াইনের উৎপাদন কম হয়েছে। বিশ্বের মোট ওয়াইনের ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো।
চলতি বছর স্পেনে ১৪ শতাংশ ও ইতালিতে ১২ শতাংশ কম ওয়াইন উৎপাদিত হয়েছে। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে দেশগুলোয় আঙুরের ফলন বাধাগ্রস্ত হয়। ভালো আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন বেশি হওয়ায় এ বছর ইতালিকে সরিয়ে ওয়াইন উৎপাদনে শীর্ষস্থান দখল করে ফ্রান্স।
বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাবে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোয় ওয়াইন উৎপাদন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খরা ও দাবানলের কারণে এ বছর চিলিতে ওয়াইনের উৎপাদন কমেছে ২০ শতাংশ। দেশটি দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ ওয়াইন উৎপাদক।
অস্ট্রেলিয়ায়ও ওয়াইন উৎপাদনের নি¤œমুখী গতি দেখা গেছে। দেশটিতে গত বছরের তুলনায় এ বছর ওয়াইন উৎপাদন কমেছে এক-চতুর্থাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালে ওয়াইন উৎপাদনের অবস্থা ইউরোপীয় ও দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোর থেকে ভালো। তবে দেশটিতে চলতি বছরের চেয়ে গত বছরের উৎপাদন ১২ শতাংশ বেশি ছিল।
উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় ওয়াইনের বৈশ্বিক চাহিদা কমেছে। ফলে সামগ্রিকভাবে ওয়াইনের বাজারে স্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে ওয়াইনের মূল্যহ্রাস এড়ানো সম্ভব হবে।