শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে কভিড সংক্রমণ ও মৃত্যুহার আবারও বাড়ছে। বিশেষ করে ইউরোপে শীতের শুরু থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে কভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়াল ২৬ লাখ। আর মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫২ লাখ। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত কভিডের নতুন ধরন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। খবর: এএফপি, বিবিসি।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জার্মানিতে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। তালিকায় এর পরই রয়েছে ইউক্রেন, তুরস্ক, মেক্সিকো, জার্মানি ও পোল্যান্ড। এতে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ কোটি দুই লাখ। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ লাখ ৯৮ হাজার।
গতকাল ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে কভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছয় হাজার ৫২৩ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩৭ জনে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার। এ পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি দুই লাখ ৪৮ হাজার ৮১ জনে।
নতুন ধরনে বাড়ছে উদ্বেগ: দক্ষিণ আফ্রিকায় কভিডের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। এ ধরনটি এরই মধ্যেই বেশ কয়েকটি মিউটেশন ঘটিয়েছে। নতুন এ ধরন কতটা সংক্রামক ও প্রাণঘাতী হতে পারে, সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে। তবে নতুন ধরন নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা চিন্তিত। যুক্তরাজ্য বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভাইরাসের নতুন রূপ নিয়ে তারা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। এছাড়া বিদ্যমান টিকা ভাইরাসের এ ধরনকে কতটা থামাতে পারবে, সেটি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
ছয় দেশ থেকে ব্রিটেন ভ্রমণে বিধিনিষেধ: যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন, কভিডে নতুন ধরন শনাক্তের পর নতুন করে ছয়টি দেশকে রেড লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার জিএমটি ১২টা থেকেই এটি কার্যকর হবে। এসব দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নতুন ধরন শনাক্ত এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, লেসোথো এবং এসওয়াতিনি থেকে যুক্তরাজ্যমুখী ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছে, করোনার বি.১.১.৫২৯ নামক এ ধরনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। এ ধরনে সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের সবাই দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা ও হংকংয়ের বাসিন্দা।