শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বে আবারও বেড়ে চলেছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। ২০১৭ সালে বিশ্বের ৮২ কোটি ১০ লাখ মানুষ ছিল অপুষ্টির শিকার। অর্থাৎ প্রতি ৯ জন মানুষের একজন প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। এজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে দায়ী করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বিশ্ব নেতাদের এ বিষয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের চেয়ে কম বয়সি শিশুদের মধ্যে ১৫ কোটি শিশুর দৈহিক স্বাভাবিক বিকাশ আটকে আছে পুষ্টিহীনতায়। এ সংখ্যা বিশ্বের মোট শিশুর ২২ শতাংশ। জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল সম্মিলিতভাবে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদন তৈরিতে যারা যুক্ত ছিলেন তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগই এ সংকটের জন্য অনেকটা দায়ী।
গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠেছে, বেড়ে গেছে বন্যা, দাবদাহ, ঝড় ও খরা। আর তা ক্ষুধা মেটানোর শস্য উৎপাদন ব্যাহত করছে। যেসব দেশে শস্য উৎপাদন প্রধানত বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরশীল, বৃষ্টিপাতের তারতম্যে সেসব দেশে পরিস্থিতি চরম অবস্থায় পৌঁছেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের এ প্রভাবের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ ও সহিংসতাও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এ সংকট থেকে উত্তরণে বিশ্বের দেশগুলোর সমন্বিত চেষ্টা চালানোর ওপর জোর দেওয়া হয় প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় অক্সফামের রবিন উইলোবি বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক যে বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা কমে আসার পর এখন পরপর তিন বছর তা আবার বাড়ছে। এটা এখন স্পষ্ট যে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্বের অনেক মানুষকে তার পর্যাপ্ত খাবার পাওয়া থেকে বঞ্চিত রাখছে। যে দেশগুলোতে বন্যা ও খরা হচ্ছে, সেসব দেশেই পরিস্থিতি ভয়াবহ।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান ক্ষুধাপীড়িত এ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে মন্তব্য করে অক্সফাম কর্মকর্তা বলেন, আমাদের রাজনীতিকদের এখন জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গরিব দেশগুলোকে সহায়তা দিতে হবে।

Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 9:51 am
বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে
আন্তর্জাতিক ♦ প্রকাশ: