বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ ডলারের বেশি। খবর: রয়টার্স।

জ্বালানি তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস দৈনিক তেল উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ আনার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়াল।

গতকাল শুক্রবার প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম বেড়েছে ৭৩ সেন্ট, যা শতকরা হিসেবে দশমিক ৭৩ শতাংশ। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম বেড়েছে ৭৮ সেন্ট বা দশমিক ৮৪ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় দেশটি থেকে বিশ্ববাজারে আগের মতো তেল আসছে না। এতে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশ তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছিল। ফলে একদিকে যেমন তেলের বাজারে পতন দেখা দিয়েছিল, অন্যদিকে বৈশ্বিক মন্দারও আশঙ্কা দেখা দেয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে দেখা যায়, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৫ সেন্ট বা শূন্য দশমিক চার শতাংশ বেড়ে ১০১ দশমিক ৬৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ সময় ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের মূল্য ৩২ সেন্ট বা শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে ৯৫ দশমিক ২১ ডলারে দাঁড়ায়।

উভয় অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক বুধবার তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়। কারণ সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ও এর মিত্ররা দামকে সমর্থন করার জন্য উৎপাদন কমিয়ে দেয়ার সম্ভাবনার কথা জানান। মূলত এরপর জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অনেক জ্বালানিবিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২০০ ডলারে উঠতে পারে। তেলের দাম প্রকৃত অর্থেই প্রতি ব্যারেল ২০০ ডলারে উঠলে জাহাজভাড়াসহ পরিবহন খরচ রীতিমতো আকাশে উঠে যেত। বৈশ্বিক অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যেত।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ থেকে তেল উত্তোলন শেষ হবে আগামী নভেম্বরে। তখন এ ভান্ডার আবার ভর্তি করতে হবে, অর্থাৎ তেলের চাহিদা বাড়বে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০